কাফের কাকে বলে? কাকে কাফের বলা যাবে?

কাফের কাকে বলে: আল্লাহ তাআলার মনোনীত দিন ইসলামের যেকোনো একটি বিষয়ের উপর অবিশ্বাসকারীকে কাফের বলে। অর্থাৎ কেউ যদি ইসলামের যাবতীয় বিষয়ের উপর বিশ্বাস আনে কিন্তু যে কোন একটি বিষয়ের উপর বিশ্বাস আনে না অথবা একাধিক বিষয়ের উপর বিশ্বাস আনে না তাকে কাফের বলে।

কাফের অর্থ অস্বীকারকারী বা অবিশ্বাসকারী, এবং কাফের তারায় যারা ইসলামের যে কোন বিষয়ের উপর বিশ্বাস না আনে।

সুন্নত অথবা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স.) এর জীবনের যেকোনো একটি উপদেশ মেনে না চললেও অনেক ক্ষেত্রে কাফের বলে অন্তর্ভুক্ত করে।

কাফের কাকে বলে
কাফের কাকে বলে?

আসমানী কিতাব অর্থাৎ কুরআনে কারিমের যেকোনো একটি বিষয়ের উপর অবিশ্বাস করলেও তাকে কাফের বলা হবে।

অর্থাৎ ইসলামের যেকোনো একটি বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করার ফলে কাফেরের রূপান্তর হওয়া যায় এবং কাফেরের পরিণতি অতি ভয়াবহ।

আমরা অনেকেই আছি যারা মনে করে, যারা কুফরি করে তাদেরকে কাফের বলা হয়। তবে মনে রাখবেন একথাটি মোটেও সত্য নয় বরং এটি একটি মিথ্যা কথা। কেননা কাফের তো তাদেরকে বলা হয় যারা জেনে শুনে অস্বীকার করে অবিশ্বাস করে এবং বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকে।

ইসলামের যাবতীয় বিষয় বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল এবং এই বিশ্বাসী একমাত্র পারে মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটাতে।

ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ঈমান ঠিক তেমনি সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো অবিশ্বাস করা বা অস্বীকার করা বা কাফের হওয়া।

কাকে কাফের বলা যাবে?

আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা নিজেকে ঈমানদার বলে দাবি করে থাকেন এবং অনেকেই আছেন যারা নিজেকে অতি সৎ বলে দাবি করে থাকেন। আসলে কাফের কিংবা ঈমানদার হওয়া উভয় এর জবান দ্বারা বের হওয়া বাণী দ্বারা নির্ভর করে না।

বরং কাফের কিংবা ঈমানদার হওয়ার ক্ষেত্রে নিজের মন বা অন্যের মনের উপর নির্ভর করে।

কে বিশ্বাসী কে কোন বিষয় বিশ্বাস করে এবং কোন বিষয়ে বিশ্বাস করে না এর উপর ভিত্তি করে এটি নির্ভরশীল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের অন্তরের খবর তো কেউ জানে না তাহলে কিভাবে আমরা কাউকে কাফের বলব এবং কাউকে ঈমানদার বলব।

আসলে এখানে বিশ্বাস করার বা নিজেকে খুঁজে বেরার কোন দরকার নাই কেননা আল্লাহ তাআলা সকলের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে অবগত।

তাই কেউ নিজেকে ঈমানদার বলে দাবি করতেছে কিংবা কাফের বলে দাবি করতেছে এ বিষয়ে নিজের কোন মাথা ঘামানোর দরকার।

মাথার ঘামানোর দরকার তো সেখানে যে নিজের মনের অবস্থা কিরূপ আছে এবং ঈমান কতটুকু আছে।

আপনি যদি কাউকে কাফের বলেন এবং সে যদি কাফের বলে আল্লাহর নিকট গণ্য না হয়, তাহলে ফলস্বরূপ আপনাকে কাফের বলে গণ্য করা হবে। তাই এ সকল বিষয় বেচে চিন্তাভাবনা না করে নিজের বিষয় চিন্তা ভাবনা করে রাখাই ভালো।

কাফের কাকে বলে এই বিষয় ধারণা লাভের পর কাউকে কাফেল বলে অবিহিত করা উচিত হবে না।

উপসংহার:

কাফের কাকে বলে এবং কাকে কাফের বলা যাবে এ বিষয়ের উপর ইসলামিক কিছু ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টে। আর অবশ্যই আমাদেরকে এটি মনে রাখতে হবে যে কাফের সম্পর্কে ইসলামিক ব্যাখ্যা রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে আমল বাদ দিতে হবে।

অর্থাৎ কাফের যেহেতু অবশ্যই একটি অনৈতিক এবং অসন্তুষ্টির কারণ হবে আল্লাহ তায়ালার নিকট এটি বাদ দেওয়া উচিত।

শুধু বাদ দেওয়া উচিত নয় বরং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা, বিভিন্ন কারণে কাফের লিপ্ত হয়েছি আমাকে ক্ষমা করে দিন।

আর যেহেতু কাফেরের পরিণতি অনেক বেশি ভয়াবহ হবে এবং ভয়াবহ পরিণতি হিসেবে জাহান্নামের কথা বিশেষভাবে পরিচিত। তাই অবশ্যই আপনি আমি যদি জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকতে চাই অথবা জান্নাতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে কাফের এর বৈশিষ্ট্য বাদ দিতে হবে।

অর্থাৎ কাফেরগণ সকল পথ অবলম্বন করে জীবন পরিচালনা করে আমাদেরকে সেই সকল পথ বাদ দিতে হবে চলার জন্য।

সত্যের পথে থাকতে হবে এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে যাবতীয় অন্যায় থেকে নিজেকে রক্ষা করে আল্লাহর রিজিক গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মুমিন কাকে বলে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!