কম্পিউটার কাকে বলে? কম্পিউটারের সুবিধা, বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ

কম্পিউটার কাকে বলে: প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রক ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার দ্বারা গণনা করা সহজ হয়েছে, তাকে কম্পিউটার বলে। আবার, যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ইনপুট, আউটপুট ও প্রসেসিং সহ তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম তাকে কম্পিউটার বলে।

আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে যন্ত্র বৈদ্যুতিক তড়িৎ দ্বারা চালিত হয় এবং চারটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে (যেমন: ইনপুট, আউটপুট, প্রসেসিং ইউনিট এবং মেমরি স্টোরেজ ইউনিট) তাকে কম্পিউটার বলে।

যদি আবার কম্পিউটার আমরা গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করি, কিন্তু এই কম্পিউটার দ্বারা বর্তমানে যাবতীয় কাজ করা সম্ভব।

বর্তমানে আমরা এটিকে নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার করতে পারি এবং এই ডিভাইস দ্বারা পার্থিব জীবনের বিভিন্ন কাজ সহজ করতে পারি।

কম্পিউটার কাকে বলে
কম্পিউটার কাকে বলে?

পৃথিবী আজ উন্নয়নের দিকে এবং এই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে কম্পিউটার ডিভাইস, যার দ্বারা বর্তমান বিশ্ব উন্নত। শুধুমাত্র এই কম্পিউটারের কথা যদি পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য চিন্তা করে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে এই কম্পিউটারের আবিষ্কারকের কথা চিন্তা করতে হবে।

যদি আবিষ্কারক কম্পিউটার না আবিষ্কার করত তাহলে কম্পিউটার আবিষ্কার হতো না এবং বিশ্ব উন্নত হতো না।

কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে সাজানো হবে এবং আশা করি আপনারা শেষ পর্যন্ত এখানে উপস্থিত থাকবেন। যদিওবা কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কিন্তু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস হওয়া সত্ত্বেও এটি একটি মানুষের চেয়ে অধিক বুদ্ধিমত্তার কাজ করে থাকে।

কম্পিউটারের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটার ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন প্রকার সুবিধা উপভোগ করতে পারে এবং এর সুবিধা গুলো দ্বারা কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য বোঝা যায়। অর্থাৎ আমরা যদি কম্পিউটার সুবিধা গুলো জানতে পারি তাহলে খুব নিমিষেই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাবো।

তাই কম্পিউটারের এই সুবিধা সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে কেননা এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হব। কম্পিউটার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে এর বৈশিষ্ট্য জানতে হবে এবং বৈশিষ্ট্য জানার জন্য সুবিধা প্রথমে জানতে হবে।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু কম্পিউটারের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য সমূহ উল্লেখ করা হলো:

  • কম্পিউটার দ্রুত গতিতে কাজ করে, যার কাজের পরিমাণ MIPS এককে হিসাব করা হয়।
  • যেকোনো গণনার পর কম্পিউটার নির্ভুল সমাধান দেয়, যা মানুষের পক্ষে সর্বদা সম্ভব নয়।
  • একই কাজ বারবার করতে কিংবা একাধিক কাজ করতে গিয়ে কম্পিউটার ক্লান্তি বোধ করে না।
  • কম্পিউটার কাজ করার সময় ক্লান্তি বন্ধ করে না এবং কাজের গতিও কমে যায় না।
  • কম্পিউটার তার স্টোরেজ বহুদিন পুরনো অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে পারে।
  • কম্পিউটার নিজে কিছু জানে না, তবে উপযুক্ত প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সকল প্রকার সমস্যার সমাধান করতে পারে।
  • কম্পিউটার অযথা কাগজের ব্যবহার ও মানুষের পরিশ্রম কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

এগুলো হলো কম্পিউটারের কিছু সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য, যে তথ্যগুলো তারা আমরা কম্পিউটারে বিশেষ ধারণা ইতিমধ্যে পেয়ে গেলাম।

কম্পিউটারের সবচেয়ে প্রধান দিক হচ্ছে এর আবিষ্কারক এবং এই প্রধান দিক অর্থাৎ আবিষ্কার সম্পর্কে এখন নিজেকে প্রস্তুত করি জানার জন্য।

কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে?

(Computer) কম্পিউটারের আবিষ্কারক হলো বিশিষ্ট মহা গবেষক চার্লস ব্যাবেজ (The computer father)।

তাহলে চার্লস ব্যাবেজকে বলা হয় কম্পিউটারের আবিষ্কারক এবং ইনি সর্বপ্রথম যে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন এ কথাটি সর্বদা সত্য না।

কেননা ইনি শুধুমাত্র ধারণা দিয়েছিলেন কম্পিউটারের কিন্তু সেই সময় ইনাদের সম্ভব হয়নি এই কম্পিউটার আবিষ্কার করার। তবে তিনি ধারণা দেওয়া অর্থাৎ কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করায় তিনাকে কম্পিউটারের জনক বা আবিষ্কারক বলা হয়।

আবিষ্কারক বলতে আবিষ্কার করাকে বোঝানো হয় এবং তিনি কম্পিউটার ধারণা দেওয়া তিনি কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন।

আর এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে বিশিষ্ট গবেষক চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বা আবিষ্কারক বলে আমরা জেনে থাকি।

কম্পিউটার সম্পর্কে আমাদের আরো একটি ধারণা নেওয়া বাকি রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি বা এর প্রকারভেদ। অর্থাৎ কম্পিউটারের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে, যে প্রকারভেদ গুলোর উপর বিবেচনা করে আমরা কম্পিউটারকে বিভিন্ন ভাবে নিজেদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে কম্পিউটারের কর্ম দক্ষতা পরিবর্তনের মাঝে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কম্পিউটারের পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সকল পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে আমরা কম্পিউটারকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি এবং সেই সাথে এদেরকে উপযুক্ত ভাবে সূচিত করেছি।

কম্পিউটার সিস্টেমের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, কম্পিউটার প্রধানত তিন প্রকার। যথা:

  • এনালগ কম্পিউটার (প্রথম যুগের কম্পিউটার)
  • ডিজিটাল কম্পিউটার (বর্তমান যুগের কম্পিউটার)
  • এবং হাইব্রিড কম্পিউটার (বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উন্নত কম্পিউটার)

এগুলো হচ্ছে কম্পিউটারের কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলো যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে কম্পিউটারের মাঝে এসেছে।

কম্পিউটার কাকে বলে এ বিষয়ের উপর যতগুলো তথ্য জানা প্রয়োজন ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে এবং জানার জন্য দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top