কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায়?

কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায়: প্রায় ১১০ ডিগ্রী জ্বর হলে মানুষ মারা যায় এবং এটি গড় হিসাব করে পাওয়া গেছে।। কোন ব্যক্তি ১১০ ডিগ্রি জ্বর আসার পরেও বেঁচে থাকলে, বুঝতে হবে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শারীরিক গঠন অনেক উন্নত।

সাধারণত ১১০ ডিগ্রি জ্বর আসার পর কোন ব্যক্তি জীবিত থাকতে পারে না কেননা ১১০ ডিগ্রি জ্বর আসার পর রক্ত অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়। আর রক্তের মধ্যে থাকা তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হওয়ার অবস্থায় চলে যায় এবং ফলস্বরূপ ওই ব্যক্তিটি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে।

তাই একটি ব্যাখ্যা অনুযায়ী স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে, মানুষ ১১০ ডিগ্রি জ্বর আসার পর আর জীবিত থাকতে পারে না।

তবে প্রায় সকলে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া এবং জ্বর আসা মাত্র শরীরে পানি দেওয়ার ফলে জ্বর বিস্তার ঘটাতে পারে না।

কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায়
কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায়

আর জ্বর যখন পানি ঢালার ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে তখন মানুষের জ্বর ১১০ ডিগ্রিতে উঠতে পারেনা এবং মানুষটি জীবিত থাকতে পারে। অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ এর বেশি এবং যখন এই তাপমাত্রা ১১০ ডিগ্রি হয় তখন মানুষটি মারা যায়।

মনে রাখবেন, জ্বর বলতে শরীরের উষ্ণতাকে বৃদ্ধি পাওয়া বোঝানো হয়ে যা ৯৮.৪ এর বেশি সনাক্ত করা যায় বা জ্বর হয়।

আর অবশ্যই আপনাকে জ্বর আসার পর নিজের মাথায় পানি দিতে হবে যেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে না পারে।

আমরা হয়তোবা অনেক ক্ষেত্রে শুনেছি যে অত্যাধিক হারে জ্বর হওয়ার কারণে কোন একটি ব্যক্তি নিজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।

আর অত্যাধিক হারে জ্বর বলতে মূলত ১১০ ডিগ্রি জ্বরকে বোঝানো হয় এবং এরকম তাপমাত্রায় ব্যাক্তি মারা যায়।

কত ডিগ্রি তাপমাত্রা হলে জ্বর

মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৪ ডিগ্রি এবং এই তাপমাত্রা অতিক্রম করলে জ্বর হয়, ৯৯ কিংবা ১০০ ডিগ্রী  তাপমাত্রা দেখা দিলে সেটা জ্বর হিসেবে গণ্য হবে।

আর যখন জ্বর হয় তখন এই জ্বর সর্বোচ্চ ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত একটি মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়।

আর যখন অত্যাধিক হারে জ্বরের পরিমাণ বেড়ে ১১০ ডিগ্রি পৌঁছায় তখন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে থাকে বা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কিঞ্চিৎ পরিমাণ উর্ধ্বে গেলে সেটি হচ্ছে জ্বরের লক্ষণ। এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ৯৮.৪ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা থাকতে হবে।

জ্বর আসার পেছনে সবচেয়ে মূল কারণ হিসেবে যে কারণ দায়ী করা হয়ে থাকে আমাদের সমাজে সেটি হচ্ছে ঠান্ডা।

কিন্তু আসলে এমনটা না বরং ঠান্ডা লাগার কারণে জ্বর আসবে এমনটা না বরং শীতে সহজে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয় না।

মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এবং এই পরিবর্তনের সময় মানুষের মধ্যে জ্বর লক্ষণটির প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।

আবার সেই সাথে অত্যাধিক পুকুরে গোসল করার সময় ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি নাক দিয়ে ঢুকে গেলে জ্বর আসতে পারে।

অর্থাৎ জ্বর একটি দুটি কারণে আমাদের শরীরে আসতে পারে এমনটি না বরং আমাদের শরীরে অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে জ্বর আসতে পারে।

আর আমি যেমনটি বললাম জ্বর আসা মাত্র আপনার শরীর ঠান্ডা করতে পানি দিন এবং এভাবে আপনি জ্বর স্বাভাবিক রাখতে পারবেন।

শেষ কথা:

কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায় এবং মানুষের স্বাভাবিক জ্বরের তাপমাত্রা কত হয় তা উল্লেখ করেছি এই পোস্টে। আর আপনি যদি জ্বর সম্পর্কে সামান্য টুকু ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রথমে জ্বর নিয়ে এই ধারণাগুলো আপনার রাখা উচিত।

আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে জ্বর আসতে পারে তবে আমাদেরকে সর্বদা পানি ঢেলে শরীর ঠান্ডা করার মাধ্যমে প্রতিকার করতে হবে।

আর অবশ্যই ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন ভাল মানের ঔষধ গ্রহণ করতে হবে যেন জ্বরের মাত্রা বেড়ে না যায় শরীরে।

আর অবশ্যই আপনাকে আমাকে জ্বরকে অবহেলা করলে চলবে না কেননা, এখনো খোঁজ নিতে গেলে অনেক ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে যারা জ্বরের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর তাই আপনাকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে এবং জ্বর আসার পর সর্বদা প্রথমে মাথায় পানি ঢেলে নিতে হবে জ্বর স্বাভাবিক করার জন্য।

ধন্যবাদ, আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত এই প্রশ্নের মধ্যে থাকার জন্য এবং জ্বর সম্পর্কে আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো নিজের মাথার নেওয়ার জন্য।

তবে জ্বর সম্পর্কে একটি কথা না বললেই নয় সেটি হচ্ছে জ্বর বর্তমানে স্বাভাবিক মনে হলেও প্রথমে অনেক মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

তাই, জ্বর আসার পর নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং হালকা শীতল জায়গায় অবস্থান করতে হবে।

শীতল জায়গায় অবস্থান করার ফলে দেখা যাবে আপনার আমার জ্বর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে এবং সুস্থ অনুভব করব।

আরও পড়ুন: বায়ুবাহিত রোগ কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top