কণার গতিতত্ত্ব কাকে বলে: কণাগুলোর আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি এবং গতিশক্তি দিয়ে পদার্থের কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থার ভৌত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার তত্ত্বকে কণার গতিতত্ত্ব বলে। কঠিন অবস্থায় পরমাণুতে উপস্থিত কণাগুলো খুব কাছাকাছি অবস্থান করে এবং তা প্রদান করে কণাগুলোকে কাঁপানো যায়।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পরমাণুতে উপস্থিত কণাগুলোর গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
পরমাণু গঠনের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রতম কণা এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি এবং এই কণার উপর ভিত্তি করে একটি গতি তত্ত্ব রয়েছে।
একটি মৌলের উপস্থিতিতে কণার গতির উপর ভিত্তি করে যে তথ্য তৈরি করা হয়েছে সে তথ্যটির নাম হচ্ছে কণার গতি তত্ত্ব।

আমরা অনেকে বলতে পারি যে, কণার গতি তত্ত্ব বলতে শুধুমাত্র গতির কথা উল্লেখ থাকার কথা কিন্তু এমনটি কেন নয়।
আমরা যদি উপরোক্ত সংজ্ঞাটিতে লক্ষ্য করে তাহলে আমরা সেখানে দেখতে পারবো যে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির কথা বলা হয়েছে।
আসলে একটি মৌলের উপস্থিত কোনা গতি শক্তি কতটুকু হবে তা উক্ত মৌলের আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হবে। আর এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমরা শুধুমাত্র কণার গতিকে কণার গতিতত্ত্ব বলতে পারি না বরং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি সহ যুক্ত করতে হয়।
কণার গতিতত্ত্বের ব্যাখ্যা
সকল পদার্থের গঠনে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা এবং পরমাণুর কণাগুলো একে অপরকে আকর্ষণ করে এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ বল সৃষ্টি করে।
পরমাণুর ভিতরে উপস্থিত এই আন্তঃকণা আকর্ষণ বল এবং কণাগুলোর গতি শক্তি দিয়ে পদার্থের কণাগুলোর দূরত্ব সম্পর্কে জানা যায়।
কণাগুলোর দূরত্ব কতটুকু এবং কিভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার ওপর ভিত্তি করে কঠিন। তরল ও গ্যাসীয় অবস্থার ব্যাখ্যা প্রদান করা যায়। আর এই রকম পরীক্ষার মাধ্যমে পদার্থের অবস্থার ব্যাখ্যা প্রদান করার তত্ত্বকে কণার গতিতত্ত্ব বলা হয়।
পরমাণুর কণাগুলোর ভেতরের আকর্ষণ শক্তি যখন অনেক বেশি হয় বা কাছাকাছি অবস্থান করে তখন আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির মান বৃদ্ধি পায়।
এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির মান বৃদ্ধি, কম ও মধ্যবিত্ত অবস্থার ভিত্তিতে পরমাণুর ভৌত অবস্থার বর্ণনা করা যায়।
আবার করার গতি তত্ত্বের মাধ্যমে তাপ প্রদানের ফলে উপস্থিত কণাগুলোর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এর ধারণা পাওয়া যায়। কণার গতিতত্ত্বের মাধ্যমে উক্ত পরমাণু পরিবেশের সাথে কিরূপ অবস্থায় বিরাজ করতেছে তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদান করা সম্ভব হয়।
এটি ছিল কণার গতি তত্ত্বের ব্যাখ্যা এবং কণার গতি তত্ত্বের ব্যাখা বলতে বিশেষ কোন তথ্য নেই উপরোক্ত সংজ্ঞাটির বাইরে।
কণার গতি তত্ত্বের সকল তথ্য আমরা মূলত সংজ্ঞাটি দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারব যদি ব্যাখ্যা দেখে নিতে পারি শুধুমাত্র একবার।
শেষ কথা:
কণার গতিতত্ত্ব কাকে বলে এবং কণার গতি তত্ত্বের ব্যাখ্যা নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে বিশেষ ধারণা রয়েছে। কণার গতি তত্ত্ব সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা স্বল্প মানে থাকে তাহলে এই প্রশ্নের দ্বারা আশা করা যায় আপনার ধারণা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রত্যেকটি মৌল গঠনের পিছনে থাকে ক্ষুদ্রতম কোনা এবং এর ক্ষুদ্রতম কণা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে পদার্থের মধ্যে অবস্থান করে।
পদার্থের মধ্যে অবস্থান করে কোনগুলো যে সকল বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে তার মধ্যে কণার গতি তত্ত্ব বা কণার গতি অন্যতম।
পরমাণুতে উপস্থিত কণাগুলো সর্বদা গতিশীল হয়ে থাকে এবং এই গতিশীল অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার তত্ত্ব বের করা হয়েছে রসায়নে। আর গতির উপর ভিত্তি করে কণার জন্য রসায়নের যে তত্ত্ব আবিষ্কার করা হয়েছে ধারণা লাভের জন্য সেটি হচ্ছে কণার গতিতত্ত্ব।
ধন্যবাদ, কণার গতিতত্ত্ব নিয়ে আজকের আমাদের এই আলোচনার মধ্যে আপনার দীর্ঘ একটি সময় অতিবাহিত করার জন্য।
সর্বদা এটি মনে রাখবেন যে, কণার গতিতত্ত্ব হচ্ছে উক্ত কণার গতিশক্তি এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তির সম্মিলিত একটি রূপ মাত্র।
আরও পড়ুন: ব্যাপন কাকে বলে?