উৎপাদন কাকে বলে: প্রাকৃতিক সম্পদের রুপগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে কোন কিছু সৃষ্টি করাকে বোঝানো হয় এবং উৎপাদন দ্বারা মূলত নতুন কিছু সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ হিসেবে, কৃষক জমিতে চাষাবাদ করে প্রাকৃতিক সম্পদের রূপগতা পরিবর্তন করার মাধ্যমে। আর এ রূপকথা পরিবর্তন করার ফলে মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের বা সম্পদের ব্যবহার করার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন হয়।
আর ফসল উৎপাদন করার এই প্রক্রিয়াটাকে মূলত উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং উৎপাদন ব্যবসা ক্ষেত্রও হয়। যেমন আপনি একটি নিম্ন দামের বস্তু ক্রয় করলেন এবং পরবর্তীতে সেটির যত্ন নিয়ে উন্নত করার মাধ্যমে বেশি বিক্রি করলেন।
এর ফলে সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আপনার উৎপাদন বৃদ্ধি পেল এবং এটি হচ্ছে উৎপাদক।
উৎপাদনের উপকরণগুলো কি কি?
উৎপাদনের উপকরণ মোট চারটি, যেমন:
- ভূমি
- শ্রম
- মূলধন
- সংগঠন
ভূমি: ভূমি হচ্ছে ওই স্থানে যেখানে কৃষকগণ চাষাবাদ করে থাকেন এবং ভূমির সংজ্ঞা এতটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে বা যে বস্তুর উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে সে বস্তুটি হচ্ছে ভূমি এবং এটি উৎপাদনের একটি উপকরণ।
কেননা এই ভূমি ব্যবহার করে কৃষক জমিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করে থাকেন, যা একটি উদ্যোগ।
আবার সাথে খামার বা ব্যবসায়ীগণ নিজের পণ্যের বিভিন্ন মাধুর্য ফুটে তোলার জন্য এবং ভালো করার জন্য এই ভূমিতে বিচরণ করেন।
শ্রম: শুধুমাত্র ভুমি দ্বারা উৎপাদন লাভ করা সম্ভব নয় বরং পরিশ্রম করতে হবে এবং পরিশ্রমের ফলে সাফল্য আসবে।
তাই পণ্যের উৎপাদন বা রূপবত পরিবর্তন আনার জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং এই পরিশ্রম হচ্ছে উদ্যোক্তার উপকরণ।
মূলধন: শুধুমাত্র পরিশ্রম কিংবা ভূমি থাকলে চলবে না বরং সেই সাথে মূলধন থাকতে হবে যার দ্বারা পণ্য উৎপাদন হবে। মূলত ব্যবসা করার জন্য একটি পণ্য ক্রয় করতে হবে অথবা ফসল উৎপাদন করার জন্য ফসলের বীজ নিতে হবে এবং মূলধন দরকার।
সংগঠন: উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে উৎপাদনের কাজ পরিচালনাকারী উপকরণকে সংগঠন বলে।
মূলত এই সংগঠনই হচ্ছে উদ্যোক্তা জিনার সকল কাজ ও চিন্তাভাবনার ধারায় মূলত একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তা কাকে বলে?