উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র এর নাম হলো: ট্যাকোমিটার, এটি উড়োজাহাজের গতি নির্ণায় করে। এই ট্যাকোমিটারকে আবার আর পিএমও বলা আমারা ভিন্নভাবে ডাকতে পারি। যে যন্ত্রের সাহায্যে ঘূর্ণন কোন বস্তুর বা বস্তুর সমূহের গতি নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা যায় তাকে বলা হয় টেকোমিটার বা আরপিএম।
আমরা জানি যে উড়োজাহাজ আকাশের অনেক উপর দিয়ে উড়ে যার কারণে এটি উড়ার সময় কোন দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর এই দুর্ঘটনা থেকে এড়ানোর জন্য আমাদের অবশ্যই উড়োজাহাজের গতি জানা জরুরী।
কেননা উড়োজাহাজার গতি জানা থাকলে উড়োজাহাজের চালক বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা লাভ করতে পারবে। সে বুঝতে পারবে যে উড়োজাহাজকে ধীরে চালাতে হবে না জোরে চালাতে হবে কোন দিকে চালাতে হবে এবং কিভাবে চালাতে হবে।

আর এই উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র দ্বারা এটি সহজে বুঝা যায় যে একটি উড়োজাহাজ কত জোরে উড়তে পারে।
আর এটিও জানা যায় যে সর্বনিম্ন কত গতিতে থাকলে একটি উড়োজাহাজ পড়ে যাবে অথবা দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
বিভিন্ন আবহাওয়া অনুযায়ী উড়োজাহাজকে কিভাবে চালাতে হবে এবং কত জোরে চালাতে হবে তা বুঝতে পারা যায় এই যন্ত্র থেকে। কেননা আবহাওয়া অনুযায়ী কখনো জোরে গেলে কিংবা কখনো বেশি আসতে গেলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু এই যন্ত্র ব্যবহার করে যেহেতু উড়োজাহাজের গতি সম্পর্কে জানা যায় তাই সেই অনুযায়ী চালাক তা নিয়ন্ত্রণ করে চালাতে পারেন।
আর এই গতি দেখে চালক বুঝতে পারেন যে আবহাওয়া অনুযায়ী প্লেন জোরে চালাবেন না আস্তে চালাবেন।
উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র কিভাবে কাজ করে
উড়োজাহাজের মধ্যে উড়োজাহাজার গতি পরিমাপ করার জন্য বায়ুর গতি নির্ণয় যন্ত্র উপস্থিত থাকে। যাকে বলা হয় থাকে Air speed indicator আর সংক্ষেপে একে বলা হয় Asi। এর মাধ্যমে উড়োজাহাজের চারপাশের বাতাসের গতি নির্ণয় করা হয়।
এই Air speed indicator বিশেষ সিস্টেম ব্যবহার করার মাধ্যমে উড়োজাহাজের গতি নির্ণয় করে থাকে যার নাম হলো Petot static system।
আর এই Petot static system.এর ভিতর দুইটি যন্ত্র থাকে যাদের কাজ একটি অপরটির আলাদা আলাদা।
যার মধ্যে একটি হলো Petot tube যার কাজ হলো Petot এর মধ্যে থাকা Petot pressure পরিমাপ করা বা নির্ণয় করা।
আর অন্যটি অর্থাৎ static port এর কাজ হলো static pressure কে পরিমাপ করা বা নির্ণয় করা।
উড়োজাহাজ এর ক্ষেত্রে সরাসরি কখনোই এর ডায়নামিক বেগ বা সরাসরি নির্ণয়কৃত নির্ভুল বেগ নির্ণয় করা যায় না।
আর তাই বেগ নির্ণয়ের জন্য আমি উপরে যে দুইটি মানের কথা বলেছি বা পরিমাপের কথা বলেছি সেগুলোর মান কাজে লাগে।
এই দুটি মানকে কাজে লাগিয়ে হিসাব-নিকাশ করার মাধ্যমে উড়োজাহাজ এর প্রকৃত মান বা উড়োজাহাজের প্রকৃত বেগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। আর এই হিসাব নিকাশ তুই মানুষকে করতে হয় না সেখানে লেগে থাকা যন্ত্রণা হিসাব করে মান প্রদান করে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে উড়োজাহাজের বেগ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কিভাবে কাজ করে থাকে।
আর সেটি কিভাবে এত বড় একটি আকাশে চলা উড়োজাহাজের বেগ নির্ণয় করে।
শেষ কথা:
উড়োজাহাজের বেগ নির্ণয় করা যন্ত্রের নাম এই প্রশ্নটির বিভিন্ন পরীক্ষায় বা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বা ভাইভা পরীক্ষায় এসে থাকে। আর সে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই অবশ্যই এই নামটি জানা জরুরী।
বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে শুধু যে যন্ত্রের নামটাই জিজ্ঞাসা করা হয় তা নয় কোন পরীক্ষার ক্ষেত্রে এর কাজও জিজ্ঞাসা করা হয়।
আরে সেসব পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করার জন্য আপনাদের এ বিষয়টি জানা জরুরি ছিল।
এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনাদেরকে আর যাতে অন্য কোথাও না যেতে হয় তাই আমি একটি প্রশ্নের মধ্যেই আপনার দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। যাতে করে আপনি এ বিষয়টি সহজে বুঝতে পারেন বা অনুধাবন করতে পারেন।
আপনারা এ বিষয়টি নিয়ে অবহেলা করবেন না তার কারণ এই প্রশ্নটি বিভিন্ন জায়গায় আসে যা আপনার জানার খুবই জরুরী।
সঠিক সময় যদি আপনি এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে হয়তোবা আপনি বিপদেও পড়তে পারেন।
শুধু যে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে তা কিন্তু নয় এটি আমাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়া উচিত।
যাতে করে অন্য কোন মানুষ আমাদেরকে এই বিষয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে আমরা তার সঠিক উত্তর দিতে পারি।
আরও পড়ুন: রঙ্গিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?