ঈগল পাখি | ঈগল পাখির জীবনী ধারা ও বৈশিষ্ট্য

ঈগল পাখি: ঈগল হচ্ছে একটি দক্ষ শিকারি পাখি, যা Accipitridae পরিবার এবং Buteoninae উপপরিবার এর একটি শিকারি সদস্য। প্রজাতির ওপর ভিত্তি করে ঈগলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো: Haliaeetus pelagicus. ঈগল হচ্ছে কর্ডাটা পর্বের, পক্ষী শ্রেণির এবং Falconiformes বা Accipitriformes বর্গের একটি শক্তিশালী শিকারি পাখি।

ঈগলের আবার বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে এবং প্রজাতির উপর ভিত্তি করে আবার তাদেরকে বিভিন্ন বর্গে ও গণে ভাগ করা হয়েছে।

এই ঈগল হচ্ছে একটি শিকারী প্রাণী যেটি সবসময় জঙ্গলে বসবাস করে এবং উঁচু স্থানে বাসস্থান নির্মাণ করে।

ঈগল পাখি
ঈগল পাখি।

এই ঈগল একদিকে যেমন অনেক বড় প্রাণী ঠিক অনুরূপভাবে অনেক সংগ্রাম করে নিজের চল্লিশ বছরের জীবনটা অতিবাহিত করে থাকে।

ঈগল তার প্রতিটি সময় স্বীকার করতে ব্যস্ত থাকে এবং অনেক উঁচুতে বাসা নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করে থাকে এবং সেখানে ডিম পাড়ে।

আবার সেই সাথে ঈগল হচ্ছে এমন একটি প্রাণী যে নিজের চেয়ে বড় মানের পশুকে স্বীকার করে ফেলতে পারে এবং উঁচু স্থানে ফেলে দিতে পারে। ঈগল যখন স্বীকার করে তখন স্বীকারকৃত প্রাণীকে অনেক উপরে নিয়ে যায় এবং তারপর উপর থেকে ফেলে দেয় এবং এর ফলে প্রাণীটি মারা যায়।

আর এইভাবে প্রাণীটিকে ফেলে দিয়ে মারার মাধ্যমে ঈগল তার শিকার সম্পন্ন করে থাকে এবং আহার নিবারণ করে থাকে। ঈগল বৈশিষ্টার দিক দিয়ে এবং জীবনের দিক দিয়ে অনেক বেশি সংগ্রাম করে থাকে এবং এদের জীবনধারাও অনেক বেশি ব্যতিক্রম হয়ে থাকে সাধারণ পাখির তুলনায়।

ঈগলের জীবন কাহিনী

বেশ শক্তিশালী এবং স্বীকার করতে পারদর্শী এই ঈগল তার পুরোটা জীবন জঙ্গলে কাটাতে পছন্দ করে।

বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, সাপ এবং অন্যান্য ছোট ও মাঝারি আকারের পশু-পাখির শিকার করে ঈগল জীবিকা নির্বাহ করে।

ঈগল পুরনো বয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর এর ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ কেজি এবং উচ্চতা দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত।

এবং সেই সাথে একটি ঈগল পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর প্রায় ১১ হাজার ফুট এর মতো উচ্চতায় উড়তে পারে।

অন্যান্য পাখিদের তুলনায় ঈগল পাখির জীবনযাত্রা ও জীবন ধারণের কৌশল অনেকটাই ভিন্ন।

গড় হিসাব করে ঈগল প্রায় ৭০ বছর বেঁচে থাকে তবে, যখন এদের বয়স ৪০ এর কাছাকাছি বা ৪০ হয় তখন জীবনটা একটু বেদনা দায়ক হয়ে যায়।

৪০ বছর বয়সে একটি ঈগল ঠিকমত স্বীকার করতে পারেনা কেননা, তখন এর ঠোঁটের সুচালো অংশ একটু বেশি বড় হয়ে যায়।

আর ঠোঁট বড় হওয়ার সাথে সাথে তার মোটা ও ভারী হয়ে যায় ফলে শিকারে বেশ অসুবিধা হয়।

দানা বা পালক গুলো হয়ে যায় বেশ ভারী ও পুরাতন। ফলে এই সময় ঈগল একটি উচ্চতায় পৌঁছে পাথর দ্বারা নিজের ঠোঁট ঘষার মাধ্যমে অর্ধেক করে ফেলে। এর ফলে ঈগল পাখি বেশ যন্ত্রণা উপভোগ করে এবং ছটফট করতে থাকে।

আবার সেই সাথে পুরনো ডানাগুলো চিরে ফেলে দেয় এবং এতেও ঈগল পাখি খুব কষ্ট অনুভব করে।

আর এই ভাবে ঠোঁট ও পালক ফেলে দেওয়ার ফলে ঈগল পাখি তিন চার মাসের জন্য শিকার করা বন্ধ করে দেয়।

শিকার করা বন্ধ দেওয়ার ফলে ঈগলকে বেশ কয়েক মাস না খেয়ে বিনা আহারে থাকতে হয়। এ অবস্থায় অনেক ঈগলেই মারা যায় এবং অনেক ঈগল বেঁচে থাকে। আর এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঈগল তার নতুন পালক ও ভালো ঠোঁট লাভ করে শিকার করার জন্য।

আর এরপর পুনরায় ঈগল তার শিকার করার পদ্ধতি চালু করে এবং এভাবেই তার পুরো জীবন অতিবাহিত করে। বাসস্থানের জন্য ঈগল সবচেয়ে উঁচু স্থান নির্বাচন করে এবং সেখানে ডিম পাড়ে।

ঈগলের বৈশিষ্ট্য

ঈগল পাখি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাকে এই পাখির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হতে হবে। এই পাখিটি বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে অনেক বেশি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে এবং সেই সাথে নতুন নতুন অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে জীবন প্রচারণা করার জন্য।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ঈগল পাখির বৈশিষ্ট্য আপনার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উপস্থাপন করা হলো:

  • ঈগল হচ্ছে একটি অনেক বড়, শক্তিশালী এবং শিকারি পাখি।
  • ঈগল তার বাসস্থান নির্বাচনের জন্য সর্বনিম্ন ১০০ ফুট উঁচু স্থানে নির্বাচন করে।
  • প্রতিরক্ষা ও শিকার করার জন্য ঈগলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো তার নখ।
  • ঈগল এর দৃষ্টি শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং বেশ চতুর।
  • ঈগল এর গড় ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং গড় উচ্চতা ৩০ থেকে ৩৫ ফুট হয় থাকে।
  • ১১ হাজার ফুট এর চেয়েও বেশি উচ্চতায় এই পাখিটি উড়তে সক্ষম।
  • ঈগল তার জীবিকা নির্বাহের জন্য শিকার ব্যতীত অন্য কিছু করেনা।
  • ঈগল তার শিকার কেউ তো প্রাণী অনেক উপর থেকে ফেলে দেয় মেরে ফেলার জন্য।
  • ঈগলের কাছে রয়েছে ওড়ার জন্য অনেক বড় পালক এবং সুচালো একটি ঠোট।
  • ঈগল তার বাসস্থান সবচেয়ে বেশি পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করতে পছন্দ করে।

এগুলো হলো ঈগল পাখির কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারাই ঈগল পাখির স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে নিজের জীবন অতিবাহিত করে থাকে।

আমরা এই বৈশিষ্ট্য গুলো দ্বারা ঈগল পাখির সাধারণ কিছু জীবনধারা সম্পর্কে অবগত হতে পারি এবং জানতে পারি।

জীবন ধারার দিয়ে ঈগল পাখি অনেক বেশি সংগ্রাম করে এবং একটি বয়সে গিয়ে নিজেই নিজের অনেক অঙ্গ নষ্ট করে থাকে।

এবং এ কারণে মূলত এই ঈগল পাখির জীবনকে সাধারণ পাখির জীবনের তুলনায় অনেক বেশি পার্থক্য দেখা যায় এবং জীবন আয়ুতে অনেক বেশি পার্থক্য দেখা যায়।

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসে কি এলার্জি আছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!