ইন্টারনেট আসক্তি কি: প্রয়োজনের চেয়ে অধিক পরিমাণে অযথা ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বাস্থ্যহানি করার নামই হচ্ছে ইন্টারনেট আসক্তি। মোট কথায় বলতে গেলে কোন প্রকার উপকার ছাড়াই শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে দিনরাত ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে থাকাকে ইন্টারনেট আসক্তি বলে।
ইন্টারনেট আসক্তি হচ্ছে একটা সামাজিক সমস্যা এবং এই সমস্যা প্রায় পুরো বিশ্বের পদ্ধতি অঞ্চলের লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে যতগুলো সুফল রয়েছে তার প্রত্যেকটি দেশের উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।
এবং যতগুলো কুফল রয়েছে ইন্টারনেটে ব্যবহারের তার প্রত্যেকটি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার এত বেশি হচ্ছে যে তা হিসেব করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজন্মের মানুষ এবং এদের মধ্যে বেশির ভাগই আসক্ত হয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। কেউ আবার যুক্ত হয়েছে ভিডিও গেমসের দিকে, কেউ আবার যুক্ত হয়েছে রিলস তৈরি করতে এবং কেউবা আবার অযথা টাইম কাটায় ভিডিও দেখে।
আসলে অযথা যে কোন প্রকার সময় নষ্ট করা এবং সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার থাকাকে ইন্টারনেট আসক্তি নামে অবহিত করা হয়। ইন্টারনেট আসক্তি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সমস্যা কেননা এই সমস্যাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মানুষের অন্তরে।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করেছে এই জনপ্রিয় সমস্যাটি কেননা ইহার মাধ্যমে দেশের বেশিরভাগ ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বুদ্ধিমান ছাত্রগুলো কর্মসংস্থান ব্যবস্থা হারাচ্ছে। তবে এদের মধ্যে কিছু ছেলেমেয়েরা আবার বেঁচে আছে যারা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়নি।
এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন যারা বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এবং ইন্টারনেটে আসক্ত হয়নি।
প্রায় ১০০০ জনের মধ্যে শুধুমাত্র একজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে অথবা ১০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাবে যে কিনা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়নি।
তবে কম বেশি হলেও প্রায় প্রত্যেককে ইন্টারনেটের উপর অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর আপনি যদি ইন্টারনেটের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেকে সচেতন করতে হবে। এবং সেই সাথে এর কারণ এবং কুফল সম্পর্কে জানার সাথে সাথে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে হবে।
ইন্টারনেট আসক্তির কারণ
মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে করতে ধীরে ধীরে এই ইন্টারনেটের উপর নিজের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আসক্ত ঘটায়। তবে মানুষ ইন্টারনেটের ওপর এত বেশি আসক্ত কেন হয় এর পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেট আসক্তি বাড়ায়।
নিচে ইন্টারনেট আসক্তির কতিপয় কারণ উল্লেখ করা হলো:
- ভিডিও গেমস এর কারণে অথবা আবিষ্কারের কারণে এরকম আসক্তি লক্ষ্য হয়েছে।
- অনলাইন চেটিং শুরু হওয়ার ফলে ইন্টারনেটের এরকম আসক্তি সৃষ্টি হয়েছে।
- যেকোনো প্রকারের ভিডিও শেয়ার করার জন্য ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
- অযথা বিনোদনের জন্য ভিডিও তৈরি করার জন্য বা দেখার জন্য আসক্ত হয়ে পড়েছে।
- আবার অনেকেই আছেন যারা ভিডিও তৈরি করে অন্যকে বিনোদন দেওয়ার জন্য আসক্ত হয়ে পড়েছে।
- আবার অনেকেই আছে যারা অযথা কোনো কাজ ছাড়াই ইন্টারনেট চালু করে বসে থাকার কারণে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
এগুলো ছিল ইন্টারনেট আসক্তির কিছু কারণ এবং এর কারণগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে ইন্টারনেট আসক্তি আমাদের দূর হবে।
আর ইন্টারনেট আসক্তি দূর করতে অবশ্যই আমাদেরকে এই সকল কারণগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়কালে।
ইন্টারনেট আসক্তির কুফল
আমরা অনেকেই ইতিমধ্যে ইন্টারনেট আসক্তির মধ্যে ডুবে গেছে এবং এই ইন্টারনেট আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতেছে না। আর আপনি যেন এই ইন্টারনেট আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন সেজন্য কিছু কুফল আপনাকে জানতে হবে ইন্টারনেট আসক্তদের।
এখানে ইন্টারনেট আসক্তি কতিপয় কুফল নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ইন্টারনেট আসক্তির ফলে মানুষ তার কর্মসংস্থান গঠনের বিষয়টি নিয়ে অবহেলিত হয়ে পড়েছে।
- দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করণীয় মানুষের পরিমাণ কমে উঠেছে।
- উন্নয়নমূলক যেকোনো কাজের সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মানুষ অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছে এবং অবহেলিত হয়েছে।
- দেশের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্পর্কে পিছিয়ে পড়েছে এবং দেশের উন্নতিতে বাধা প্রাপ্ত হয়েছে।
- আবার সেই সাথে পারিবারিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সহযোগিতা কাজ করতে রুচি উঠে গেছে।
এগুলো হচ্ছে কিছু ইন্টারনেট আসক্তির কুফল এবং ইন্টারনেটে অধিক আসক্তি হওয়ার ফলে এই সকল কুফল ক্ষতি ঘটায়। আর অবশ্যই ইন্টারনেটের এই সকল কুফল আসক্তের মাধ্যমে আমাদের জীবনে না আসে সেজন্য আমাদেরকে এখন ইন্টারনেট আসক্তি মুক্তি জানতে হবে।
ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
এই ইন্টারনেট আসক্তি বিষয় সম্পূর্ণ অজ্ঞ হওয়ার পর এখন আমাদেরকে এই ইলেকট্রনের প্রতিকার পেতে হবে। আর আপনি কিভাবে ইলেকট্রন আসক্তি এই সমস্যাটা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন বা মুক্তি দিতে পারেন সেজন্য প্রতিকার ও ইন্টারনেট ব্যবহার কমাতে হবে।
ইন্টারনেট আসক্তি কি এর পর ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার কতিপয় উপায় নীচে উল্লেখ করা হলো:
- প্রথমে মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে এবং দরকার অনুযায়ী শুধু মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।
- মাথায় মোবাইলে চিন্তা আসলে প্রথমে নিজের পরিবারের দিকে তাকাতে হবে এবং উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে।
- দেশে যাবতীয় অনৈতিক এবং উপযোগী বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করতে হবে তা চিন্তা করতে হবে।
- নিজের মনকে শান্ত করতে হবে এবং প্রথমে নিজের ক্যারিয়ার গঠনের দিকে বিশেষ করে ফোকাস করতে হবে।
- ইন্টারনেটের শুধুমাত্র শিক্ষনীয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করতে করতে ইন্টারনেট আসক্তি উঠে যাবে।
এগুলো হলো কিছু প্রতিকার যে প্রতিকারগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট আসক্তিতে রয়েছে এবং তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিকার ইন্টারনেট আসক্তির অনেক কার্যকর।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনক কে?