ইন্টারনেটের জনক কে?

ইন্টারনেটের জনক কে: Vinton Gray Cerf কে ইন্টারনেটের জনক বলা হয়, ইনি হলেন আমেরিকার একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

ইন্টারনেট আবিষ্কার হতে মোট ৪০ বছর লেগেছে এবং এই ৪০ বছর ধরে নানা ধরনের গবেষণার পর ইন্টারনেটের পরিধি এত বেশি বিস্তৃত হয়েছে।

মূলত ইন্টারনেট প্রধানত বিনোদন হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং কম্পিউটারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

সেই সময় যেহেতু স্মার্টফোন ব্যবহার করার কোন সুযোগ ছিল না ঠিক এক্ষেত্রে ইন্টারনেট শুধুমাত্র কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রধানত কম্পিউটার আবিষ্কারের পর প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যে চিন্তাভাবনা আনার মাধ্যমে ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হয়।

সর্বপ্রথম ইন্টারনেট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ইমেইল করার ক্ষেত্রে এবং ইন্টারনেটের প্রচুর ব্যবহার চালু হয়েছিল।

মেইল বা চিঠি পাঠানো ছিল অনেক বেশি কষ্টকর এবং ইমেইল দ্বারা খুব দ্রুত গতিতে তথ্য পাঠানো যেত।

ইন্টারনেটের জনক কে
ইন্টারনেটের জনক কে?

প্রথম দিকের ইমেইল ছিল টেক্সটেভিত্তিক এবং এগুলো দেখতে ছিল অনেক বেশী জঘন্য কেননা একসঙ্গে অনেকগুলো লেখা দেখতে বিচ্ছিরি হয়ে যায়। এরপর ১৯৯১ সালের দিকে ওয়েবসাইট আবিষ্কার হয় এবং এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট বিপ্লব শুরু হয়ে যায়।

বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার এত বেশি বিপ্লব এনেছে যে ইহার মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে কোন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

পড়াশোনা করার কাজ নিশ্চিত হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের যুক্তি নির্ভর পরামর্শ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।

শুরুর দিকে ইন্টারনেটের প্রচলন এত বেশি না থাকলেও বর্তমানে ইন্টারনেটের আরো বেশি উন্নতি ঘটেছে এবং আধুনিক কম্পিউটার হিসেবে এটি ইন্টারনেট প্রদান করেছে এবং এর জন্য এর নাম আধুনিক ইন্টারনেট হয়েছে।

ইন্টারনেট আবিষ্কার কারো একার ফল নয় বরং কয়েকটি রাষ্ট্রের অবদান হিসেবে তৈরি হয়েছে যোগাযোগের মাধ্যম বা বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবে।

তবে আধুনিক ইন্টারনেটের জনক হলেন Vinton Gray Cerf যিনি তিনার প্রচেষ্টায় ইন্টারনেটের বিপ্লব এনেছে।

শুরুর দিকে পারমাণবিক বিভিন্ন যুদ্ধ পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এবং কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট আবিষ্কারের কথা চিন্তা করা হলেও। বর্তমানে এটি সামাজিক এবং উন্মুক্ত মাধ্যম হয়ে উঠেছে যেখানে সকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ কিরূপ হবে?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হবে অনেক বেশি উন্মুক্ত এবং বিপ্লবী চিন্তা ধারণা দ্বারা গঠিত জ্ঞান।

ইন্টারনেটের জনক দ্বারা সুনিশ্চিত হয়, ইন্টারনেটের বিপ্লব বেশি হবে, মানুষকে কোন কাজ করার জন্য বাসা থেকে বের হতে হবে না।

ইন্টারনেটের প্রচলন এর মাধ্যমে রোবট এর প্রচলন হবে ব্যাপক এবং রোবটের সঙ্গে যোগাযোগ হবে সুনিশ্চিত।

যাবতীয় কাজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে ইন্টারনেট এবং এই ইন্টারনেট দ্বারা সকল প্রকার ইঙ্গিত পাবে যান্ত্রিক প্রযুক্তি।

ড্রাইভার ছাড়া চলবে গাড়ি এবং পাইলট ছাড়া উড়বে বিমান এমন কিছু উদ্ভট প্রত্যাশা পাওয়া যায় ইন্টারনেটের কাছ থেকে।

ইন্টারনেট যুগে যুগে এত বেশি উন্নত হয়ে উঠেছে যে বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া মানুষ কল্পনা করা সম্ভব নয়।

মানব সভ্যতার যোগাযোগ স্থাপনা বর্তমানে টিকে আছে ইন্টারনেট যোগাযোগের উপর এবং এটি প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উভয় মিলে গঠিত হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে ইন্টারনেটের অস্তিত্ব থাকলেও কৃত্রিমভাবে কোন পরিচালনা গ্রহণ না করা পর্যন্ত ইন্টারনেট সক্রিয় হয় না।

ইন্টারনেটের সক্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে বিপ্লবী, ব্যবহার বিপ্লবী হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত উন্নত করতেছে টেকনোলজি বা প্রযুক্তির।

প্রযুক্তি নির্ভর এই দুনিয়ায় সম্পূর্ণরূপে নির্ভর হয়ে উঠেছে ইন্টারনেটের এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্র।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্মুক্ত এই পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে পৃথিবীর উন্নত গবেষণার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। গবেষণার কাজ এবং মহাকাশের সকল যাবতীয় হিসাব নিকাশ ইন্টারনেটে রক্ষিত।

ইন্টারনেটের বিপ্লবের চিন্তাধারা এত উন্নত যে ইহার দ্বারা কোন কাজ ও সম্ভব হয়ে যাবে তার কোন ধারণা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই ইন্টারনেটের জনক কে বিষয়টি সার্চ করে যেমন সঠিক উত্তর পেয়ে গেলেন, একই ভাবে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে এটিও পড়ে।

ইন্টারনেটের বিপ্লবী চিন্তা ভাবনা এত বেশি উন্নত যা আমাদের ধোঁয়াছো আর বাইরে কেননা ইহার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। তবে দেখা দিবে কর্মসংস্থান ব্যবস্থার অবগতি কেননা মানুষ অনেক অলস হয়ে পড়বে এবং দেখা দিবে রোগ বালাই।

শেষ কথা:

ইন্টারনেটের জনক কে এবং ইন্টারনেটের বিপ্লবী ধারণা কিরূপ হবে এই বিষয়টি নিয়ে তৈরিকৃত আজকের পোস্টটি অনেক বেশি তথ্যপূর্ণ ছিল।

পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেটের ধারণা অনেক বেশি জরুরী বর্তমান পৃথিবীর ক্ষেত্রে।

আপনি যদি আধুনিক যুগের একজন মানুষ হয়ে থাকেন এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানটুকু না থাকে তাহলে আপনার মত হতভাগা আর কেউ নেই। তবে বাচ্চা থেকে শুরু হয় বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় পড় থেকেই ইন্টারনেট সম্পর্কে বিপুল ধারণা অর্জন করে রেখেছে।

বিপ্লবী চিন্তা ভাবনায় এত বেশি উন্নত এবং কার্যকরী হয় উঠেছে যে ইন্টারনেটে ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত খালি খালি হয়ে গেছে।

ইন্টারনেট ছাড়া আমরা কোন ধরনের যোগাযোগ করতে পারি না এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ইন্টারনেটের প্রচলন অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ এর বিপ্লবী চিন্তা এবং ইন্টারনেটের শক্তি এত তীব্র যা আমরা চিন্তা করতে পারি না।

প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং ইন্টারনেট সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতেছে।

ইন্টারনেট সম্পর্কিত আজকের এই পোস্টটি ছিল অনেক বেশি তথ্যবহুল এবং এই পোস্টটিতে ইন্টারনেট সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এত বেশি উন্নত হয়েছে যে ঘরে বসেই আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি এবং নিজের কাজ করতে পারি।

বর্তমানে অফিস প্রোগ্রাম সহ নানা কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং চিকিৎসা ক্ষেত্র পর্যন্ত এক্ষেত্রে বাদ যায়নি।

অনেক আগে থেকেই গবেষণা করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং ইন্টারনেটের প্রচলন যুগান্তরের প্রতিটি মুহূর্তে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইন্টারনেট কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top