ইতিহাস কাকে বলে: মানব সভ্যতার ঐতিহ্যের ধারাবাহিক বিবরণকে ইতিহাস বলে। ইতিহাস শব্দটি ইংরেজি History শব্দের বাংলা অনুবাদ এবং এই History শব্দটির উৎপত্তি হচ্ছে গ্রিক শব্দ Historia থেকে এবং ইতিহাস শব্দটি “ইতিহ” থেকে নেওয়া।
অর্থাৎ বাংলা অনুবাদ করার সময় ডাইরেক ইতিহাসের শব্দটি আমরা ব্যবহার করিনি বরং এটি ইতিহ হয়েছিল। এবং ধারাবাহিকভাবে পরবর্তীতে এটিকে সঠিক অনুবাদ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে এবং শব্দের মাধুর্য ফুটে তোলার জন্য ইতিহাস রাখা হয়।
আবার ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু সংজ্ঞা রয়েছে যেমন- যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস এবং এটি একটি ইতিহাসের সংজ্ঞা। আবার অন্য একজনের মতে মানব সভ্যতার অতীতের বিবরণ অর্থাৎ কার্যাবলের বিবরণ লিপিবদ্ধ বা প্রস্তুত করাই হলো ইতিহাস।
আবার আরেকজনের মতে সামাজিক জীবনে হচ্ছে ইতিহাস অর্থাৎ সমাজের সকল পরিবর্তন ও অতীত ইতিহাস। আবার কোন ঘটনার বিবরণ ও বৈজ্ঞানিক ধারণার নাম হচ্ছে ইতিহাস এবং বলা যায় যে ইতিহাসের বেশ কয়েকটি সংজ্ঞা রয়েছে।
আর স্বাভাবিকভাবে ইতিহাসের প্রত্যেকটির সংজ্ঞায় সঠিক এবং এর একটি সংজ্ঞা ভুল নয়।
ইতিহাসের বিষয়বস্তু
এই ইতিহাসের বিষয়বস্তু বলতে ওই বিষয়টিকে বোঝানো হয় যে বিষয়গুলোর উপর ইতিহাস গবেষণা ও কাজ করে। তাই চলুন আমরা এবার বিস্তারিতভাবে দেখে নেই যে ইতিহাসের বিষয়বস্তুগুলো কি কি বা ইতিহাস কোন বিষয়গুলোর উপর কাজ করে।
ইতিহাসের বিষয়বস্তু মোট পাঁচটি, যেমন:
- তাৎপর্যপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য ঘটনা
- মানুষের সামাজিক সভ্যতা এবং জীবনধারার বিবরণ
- মানব জীবনের বিকাশের ধারার বিবরণ
- আদিম সভ্যতার বিবরণ
- সভ্যতার বিকাশ ধারার বিবরণ
ইতিহাসের উপাদানসমূহ
ইতিহাস বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর কাজ করে অর্থাৎ আজ পর্যন্ত যতগুলো ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে তার কিছু উপাদান রয়েছে। তাই চলুন ইতিহাসের মধ্যে পাওয়া যে সকল উপাদান গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় সেগুলো সম্পর্কে জানি।
নিচে কতিপয় ইতিহাসের উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- লিপিমালা, মুদ্রা, প্রাচীন বিভিন্ন ছবি
- পাথরের ফলক, বিভিন্ন পাতায় লিপিবদ্ধ লেখা
- পাথরের গায়ে খোদাই করা অংকন,
- প্রাচীন বিভিন্ন মূর্তি এবং মূর্তির ইতিহাস,
- প্রাচীন সভ্যতার হাড়ি পাতিল ও ঘরবাড়ি ইত্যাদি।
ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা
মূলত আমরা ইতিহাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেছি এবং এই গবেষণা শুরু করার পেছনে বেশ কিছু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই আজকে আমরা এখানে জানতে চলেছি ইতিহাসের কিছু প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যেগুলো প্রভাব ফেলেছে জীবনে।
নিচে কতিপয় ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- সমাজের ধারা বিবরণের জ্ঞানলাভ করা যায়
- সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়
- মানুষের অতীতের মনমানসিকতার পরিচয় লাভ করা যায়
- অতীতের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়
- বর্তমান এবং অতীতের কর্মপন্থার জ্ঞান লাভ করা যায়
- চেতনাবোধ বা চেতনা শক্তি জাগ্রত করা যায়
- কৌতূহল নিবৃত্তি হয় হয়
আরও পড়ুন: আইন কাকে বলে?