আলফা কণা কি? আলফা কণার বৈশিষ্ট্য ও ভর কত?

আলফা কণা কি: He2+ আয়নই হচ্ছে আলফা কণা, যার কোন ইলেকট্রন নেই শুধু নিউক্লিয়াস আছে। আবার, দ্বি-ধনাত্মক চার্জযুক্ত হিলিয়াম আয়নকে আলফা কণা বলা হয়।

হিলিয়াম গ্যাস হতে তার দুইটি ইলেকট্রন সরিয়ে নেওয়ার ফলে, হিলিয়াম তার নিউক্লিয়াসের সাথে যে অবস্থান তৈরি করে তাকে আলফা কণা বলে।

আমরা জানি, হিলিয়াম গ্যাসে শুধুমাত্র দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে এবং আলফা কণার সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে এই দুটি ইলেকট্রন অপসারিত হয়।

দুইটি ইলেকট্রন হিলিয়াম গ্যাস থেকে অপসারিত হওয়ার কারণে আমরা এই আলফা কণায় শুধুমাত্র হিলিয়ামের নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব খুঁজে পাই।

আলফা কণা কি
আলফা কণা কি?

রসায়ন গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদেরকে এই আলফা করা সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই আলফা কণা সম্পর্কে জানার একটি মূল কারণ রয়েছে।

কেননা আপনি যদি আলফা করা সম্পর্কে না জানেন তাহলে রাদারফোর্ডের মডেলের ব্যাখ্যা সঠিক মত উপস্থাপন করতে পারবেন না।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি যেহেতু সম্পূর্ণরূপে এ আলফা কণার পরীক্ষা তারা তৈরি করা হয়েছে তাই অবশ্যই আমাদেরকে আলফা কণা জেনে নিতে হবে। আর পড়াশোনা করা কালীন রসায়নের ক্ষেত্রে রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল সম্পর্কে ধারণা রাখা অবশ্যই আমাদের দরকার হবে।

উচ্চ শিক্ষায় রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য লাভের জন্য আমাদেরকে এই আলফা কোনার পরীক্ষাটি জেনে নিতে হবে।

আর আলফা কণার পরীক্ষা জানতে আমাদেরকে আলফা কণা সম্পর্কে তথ্য নিজের মাথায় রাখতে হবে যে এই আলফা কণা কি ধরনের।

আলফা কণার ভর কত?

আলফা কণার ভর Kg এককে ৬.৬৪৪×১০−২৭ এবং আলফা কণার ভর সংখ্যা হচ্ছে ৪। আলফা কণা যেহেতু দ্বি-ধনাত্মক চার্জযুক্ত তাই এতে শুধুমাত্র দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন বিদ্যমান থাকে। আর এদের উপর ভিত্তি করে আলফা করার ভর সংখ্যা দ্বারায় ৪।

হিলিয়াম আয়ন যখন তার দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে তখন এর মধ্যে শুধুমাত্র নিউক্লিয়াস উপস্থিত থাকে। আর হিলিয়ামে অবস্থিত নিউক্লিয়াস বলতে প্রোটিন ও নিউট্রন কে বোঝানো হয়ে যা কখনো নিউক্লিয়াস থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না বা মৌলটি প্রোটন ও নিউট্রন ত্যাগ করে না।

আর যেহেতু হিলিয়াম গ্যাসে দুটি ইলেকট্রন ছিল তাই সে অনুযায়ী হিলিয়াম নিউক্লিয়াসে দুইটি প্রোটন ও নিউট্রন থাকবে।

আর এ অনুযায়ী দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন যোগ করে আমরা হিলিয়াম আয়ন বা আলফা কণার ভর পাই মোট ৪।

এটি ছিল আলফা কণার ভর কত এবং কেন এর ভর ৪, তার একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা যে তথ্যগুলো আপনার দরকার হবে।

এই আলফা কণার ভর জানালে শুধু হবে না বরং ব্যাখ্যা জানতে হবে, কি কারণে আলফা কণার ভর ৪ হয়েছে।

আলফা কণার ভরের ব্যাখ্যা জানার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে আলফা কণার ভর কত এটি নিজের মাথায় আয়ত্ব করে রাখতে পারব।

আলফা কণার বৈশিষ্ট্য

আমরা তো ইতিমধ্যে আলফা কণা কি এবং আলফা কণার ভর কত এ বিষয়টি জানালাম তবে আলফা কণার কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তাহলে এখন আমাদের দরকার হবে এই আলফা কণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার, যা উচ্চ শিক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বোর্ড পরীক্ষায় রসায়ন mcq হিসেবে আসতে পারে।

যেহেতু কোন একটি কণার সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য আমাদেরকে তার বৈশিষ্ট্য জানতে হয় তাই আলফা কণার বৈশিষ্ট্য জানতে হবে।

আমরা যখন আলফা কণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারব তখন খুবই সহজেই আলফা কণার সকল ডিটেলস বা তথ্য আমাদের মাথায় থাকবে।

নিচে পাঠ্য বইয়ের আলোকে উল্লেখযোগ্য কিছু আলফা কণার বৈশিষ্ট্য সমূহ উল্লেখ করা হলো:

  • প্রচন্ড গতিসম্পন্ন আলফা করা হচ্ছে একটি যৌগিক কণা বা কম্পোজিট কণার শ্রেণীভুক্ত  আয়ন।
  • আলফা কণার গতি ১.০×১০ হতে ২.৫×১০ ms-1 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • আলফা কোনায় একটি নিউক্লিয়াস দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন থাকে তবে কোন ইলেকট্রন থাকে না।
  • আলফা কণার ভর সংখ্যা হচ্ছে চার এবং এটি হচ্ছে প্রোটন ও নিউটনের যোগফল।

এগুলো হলো আলফা কণার কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারাই আমরা আলফা কণার সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পেরেছি।

শুধুমাত্র দ্বি-ধনাত্মক চার্জযুক্ত হিলিয়াম আয়ন বলে আলফা কণার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা আমরা কখনোই লাভ করতে পারবোনা বা লাভ করা সম্ভব নয়।

বরং আমাদেরকে আলফা কণা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে হলে এর বৈশিষ্ট্য ও ভর সম্পর্কে জানতে হবে এবং বৈশিষ্ট্য অবশ্যই জানতে হবে। একটি বস্তুর সম্পূর্ণ তথ্য জানতে গেলে অবশ্যই বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন হবে এবং এক্ষেত্রে আমরা আলফা কণা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভের জন্য এর বৈশিষ্ট্য জানলাম।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top