আমিষ কাকে বলে: কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন এই চারটি মৌলিক উপাদান দ্বারা গঠিত খাদ্য উপাদানকে আমিষ বা প্রোটিন বলে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই ফসফরাস, লৌহ এবং অন্যান্য মৌল সমূহ কে আমিষ খাদ্য উপাদান এর মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে আমিষের প্রধান যে চারটি মৌল রয়েছে সে মৌলগুলো হলো: কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন।
এক কথায় প্রোটিন বা আমিষ কি: প্রোটিন বা আমিষ হলো একটি জৈব যৌগ যেখানে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন মৌলগুলো বিদ্যমান। এই আমিষ খাদ্য উপাদানের মধ্যে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ থাকে 16 শতাংশ অর্থাৎ আমিষের মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে।

সুষম খাদ্য হিসেবে আমরা ছয়টি খাদ্য কে চিহ্নিত করে থাকি বা বুঝে থাকে এবং এই ছয়টি খাদ্যের মধ্যে আমিষ অন্যতম। আপনি যদি আমিষ এর চাহিদা পূরণ করতে চান এবং খাদ্য তালিকা জানতে চান তাহলে অবশ্যই গুগলে সার্চ করুন অথবা আমাদের পোস্ট আছে এ বিষয়ে তা পড়ুন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটের থেমে একটি সার্চ অপশন রয়েছে এবং সেখানে গিয়ে আপনি “আমিষ খাদ্য কি কি” এ বিষয়টি নিয়ে সার্চ করলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি পেয়ে যাবেন। এবং আমাদের সেই পোস্টটি থেকে আপনারা খুব সহজে আমিষ জাতীয় খাদ্যের তালিকা পেতে পারেন আপনার আমিষ চাহিদা পূরণের জন্য।
সুষম খাদ্যের ক্ষেত্রে আমিষের প্রয়োজন রয়েছে এবং আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকার মধ্যে অবশ্যই আমিষ রাখা প্রয়োজন।
প্রোটিন বা আমিষ আমাদের শরীরে নানা প্রকার উপকার সংগঠন করে এবং শরীরকে মজবুত ও সুস্থ করে রাখতে সহায়তা করে।
আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার আমরা কোথা থেকে পেয়ে থাকি?
আমিষ কাকে বলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে দৃষ্টিপাত করতে গেলে এর খাবারের উৎস সম্পর্কে আমাদেরকে একটু হলেও ধারণা রাখা প্রয়োজন। আমিষের উৎস বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে যে আমরা আমিষ খাবার গুলো কোন কোন জায়গা থেকে পেতে পারি।
আমরা এখন জানার চেষ্টা করব আমিষের উৎস সমূহ যেখান থেকে আমরা আমি জাতীয় খাবার পায় ভক্ষণের জন্য।
অর্থাৎ আমিষ জাতীয় খাবারের কিছু উৎস রয়েছে যেখান থেকে আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য আমিষ সংগ্রহ করা থাকে।
তাই নিচে আপনাদের সুবিধার্থে আমি জাতীয় খাবার আমরা কোথা থেকে পেয়ে থাকি তা উল্লেখ করা হলো:
- মাছ, মাংস, দুধ এবং ডিমের সাদা অংশ থেকে পেয়ে থাকি ।
- শাক সবজির মধ্যেঃ ডাল, বাদাম, সয়াবিন তেল এবং মটরশুঁটি থেকে পেয়ে থাকি।
- শুটকি মাছ ও শুটকি জাতীয় খাবার থেকে আমরা আমিষ পেয়ে থাকে।
- সামুদ্রিক যে সকল মাছ ও প্রাণে রয়েছে সেগুলো থেকে আমরা আমিষ পেয়ে থাকে।
- বিভিন্ন প্রকার ফল থেকেও আমরা আমিষ পেতে পারি তবে খুব স্বল্প পরিমানে।
আমি আপনাকে এর আগে বলেছিলাম যে আপনি যদি তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আরো পোস্ট রয়েছে সেখান থেকে জেনে নিন। তবে আপনার জেন কোন প্রকার অসুবিধা না হয় তাই আমি এই পোস্টের মধ্যেও কতিপয় আমিষ জাতীয় খাদ্যের তালিকা উল্লেখ করেছি, সুবিধার জন্য।
আপনি যদি আমিষ গ্রহণ করতে চান এবং আমিষের চাহিদা পূরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
আমি সে চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত উল্লেখিত প্রত্যেকটি খাদ্য অনেক বেশি আমিষ ভরপুর ও উপকারী।
মানবদেহে আমিষ এর কাজ
আমাদের শরীরে আমিষ বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে এবং সেই সাথে বিভিন্ন প্রকার ক্ষয় পূরণ করে থাকে আমিষ। মানব শরীরে আমিষ কিরূপ প্রভাব ফেলে বা কিরূপ উপকার করে অথবা কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে এখন জানার চেষ্টা করব।
কেননা আমি সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোকপাত করতে গেলে আমাদেরকে অবশ্যই আমি ছাড়া কাজে জানতে হবে যে এটি কি কাজ করে মানবদেহে। মানবদেহে আমিষের কাজ কি কি রয়েছে এ বিষয়ে জানার পর আমাদের ধারণা আমিষের বিষয় উন্নত হবে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু আমিষের কাজ সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- অস্থি, পেশি এবং দেহের রক্ত কণিকা তৈরিতে আমিষ কাজ করে
- দেহ যন্ত্র, নাক, দাঁত এবং চুল গঠনে আমিষ কাজ করে থাকে
- দেহের কাঠামো পরিপূর্ণভাবে গঠনে আমিষ কাজ করে থাকে
- দেহের কাঠামো অর্থাৎ কঙ্কালকে দৃঢ়তা প্রদান করতে আমিষ কাজ করে
- শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও দেহ গঠনে আমিষ অনেক বেশি কাজ করে
- দেহের কষগুলোর ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে কাজ করে
- তাপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেহে চর্বির অভাব দেখা দিলে আমিষ সেটি পূরণ করতে সাহায্য করে
- রোগের সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে আমিষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
- মানসিক বিকাশ ঘটাতে আমিষ অনেক বেশি কাজ করে থাকে
প্রত্যেকটি খাদ্য উপাদান আমাদের শরীরে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার কাজ সংগঠন করে এবং এর ফলে আমাদের শরীর ভালো থাকে।
ঠিক অনুরূপভাবে আমিষ জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরে প্রবেশ করেন নানা প্রকার কাজ সংগঠন করে উপকারের জন্য।
আমরা অনেকেই আছি যারা আমি আমাদের শরীরে গিয়ে কি কাজ করে সে সম্পর্কে জানিনা, তাই পোষ্টের মধ্যে এভাবে বলা। আপনি যদি আমিষ সম্পর্কে আর অন্য কোন তথ্য জানতে চান বা আমাদেরকে জানাতে চান তাহলে অবশ্যই বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: আমিষ জাতীয় খাবার কি কি?