আখলাক অর্থ কি? আখলাক কাকে বলে? আখলাক কত প্রকার ও কি কি?

আখলাক অর্থ কি: আখলাক আরবি শব্দ, আখলাক অর্থ স্বভাব, চরিত্র ও গুণাগুণ ইত্যাদি। অর্থাৎ এই আখলাক দ্বারা মানুষের আচার-আচরণ, চরিত্র এবং স্বভাবকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

যেহেতু আখলাক অর্থ হচ্ছে চরিত্র সেহেতু এই চরিত্র ভালো এবং মন্দ উভয় হতে পারে এবং এর উপর ভিত্তি করে আখলাকের প্রকারভেদ রয়েছে। চরিত্র ভালো হবে কিংবা মন্দ হবে এসব বিষয় নির্ভর করবে আপনার উপর এবং আখলাকে যদি আপনি সুন্দর হন তাহলে মর্যাদা পাবেন।

অবশ্য আপনাকে আমাকে নিজের আখলাক ভালো করতে হবে এবং সেই সাথে এমন আখলাক করতে হবে যেন তা প্রশংসনীয় হয়।

কেননা যখন আপনার আখলাক প্রশংসনীয় হবে তখন সে আখলাক দ্বারা অবশ্যই অন্যায় দূর হবে এবং আখলাক দিয়ে ঐক্য সৃষ্টি হবে।

আখলাক অর্থ কি
আখলাক অর্থ কি?

আখলাক অর্থ কি এই বিষয়ে জানার পর আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি আখলাক দ্বারা আমাদের স্বভাব চরিত্র ও রীতিনীতিকে বোঝায়।

আমরা কি রূপ ব্যবহার করে এরকম ব্যবহার আসলে কতটুকু প্রশংসনীয় তার উপর ভিত্তি করে আখলাক প্রতিষ্ঠিত।

যদি আখলাক আপনার আমার ভালো হয় তাহলে অবশ্যই অন্যরা আমাদেরকে দেখে নিজের আখলাক পরিবর্তন করতে অনুপ্রেরিত হবে। আর যখন প্রত্যেক মানুষ নিজের আখলাক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকবে তখন সমাজের মধ্যে আর অন্য কোন সমস্যা বিরাজ করতে পারবে না আখলাক দ্বারা।

আমরা তো আখলাক শব্দের অর্থ কি এটা জানলাম তবে আখলাকের সংজ্ঞা কিরূপ তা সম্পর্কে এখনো অবগত হননি।

তাহলে এখন আমাদের উচিত হবে আখলাকের সংজ্ঞা সম্পর্কে কিছু ধারনা অর্জন করার যা আমাদেরকে সাহায্য করতে পারে আখলাক পরিবর্তনে।

আখলাক কাকে বলে?

আখলাক কাকে বলে: মানুষের আচার-আচরণ, চিন্তাভাবনা, মানসিক অবস্থা, মানসিকতা, কর্মপন্থা সবকিছুকে একত্রে আখলাক বলে। তবে আপনার স্বভাব ভালো হোক কিংবা মন্দ উভয় বিষয়টি আখলাকের অন্তর্ভুক্ত হবে তবে আখলাকের প্রকারভেদ অনুযায়ী।

অর্থাৎ এক প্রকারভেদ অনুযায়ী আপনার বিবেচনা হবে আপনার আখলাক ভালো কিংবা আপনার আখলাক মন্দ হয় কিনা।

যেমন স্বাভাবিক অর্থে স্বভাবকে স্বভাব বলে চিনি এবং এই স্বভাব মানুষের ভালো কিংবা মন্দ হতে পারে এবং পরিবর্তন হতে পারে।

যার অর্থ, মানুষ যেরূপ ভাবে নিজের স্বভাবে পরিবর্তন ঘটা ঠিক অনুরূপভাবে নিজে নিজেই আরবি ভাষায় আখলাক পরিবর্তন হয়।

আখলাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিজের উপর নির্ভরশীল হয় কেননা আপনার চরিত্র আপনি একমাত্র সঠিক পথে নির্ধারণ করতে পারবেন।

অনেকের ধারণা শুধুমাত্র নৈতিক আচরণকে হয়তোবা আখলাক বলা হয় এবং অবশ্যই এটি কখনো সম্ভব নয়। কেননা শুধুমাত্র নৈতিক আচরণ কে আখলাক বলা যাবে না বরং ভালো এবং মন্দ উপর আচরণকে একসঙ্গে আখলাক বলা হয় এবং প্রকারভেদ অনুযায়ী ভালো-মন্দ বিবেচনা হয়।

আখলাক কত প্রকার ও কি কি?

ভালো এবং মন্দ এই দুইয়ের উপর বিবেচনা করে আখলাকের কিছু পরিবর্তন হয় এবং এই পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে প্রকারভেদ রয়েছে। অর্থাৎ আখলাকের কিছু কার ভেতরে রয়েছে যে প্রকারভেদ গুলো ভালো এবং মন্দ আচরণের উপর বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে।

আমরা যেমন বাংলাতে বলি ভালো আচরণ এবং মন্দ আচরণ এবং ঠিক অনুরূপভাবে আরবিতে এটি এইভাবে বিভক্ত হয়েছে।

যেখানে ভালো আচরণকে আখলাকের এক নামে ডাকা হয় এবং মন্দ আচরণকে আখলাকের আরেকটি অন্য নামে ডাকা হয়ে থাকে।

আখলাক দুই প্রকার, যথা:

  • আখলাকে হামিদা (প্রশংসনীয় গুণাবলী)।
  • আখলাকে যামিমাহ (নিন্দনীয় গুণাবলী)।

এগুলো হলো আখলাকের কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলো ভালো এবং মন্দের উপর বিবেচনা করে তৈরি হয়েছে। আর অবশ্যই যেহেতু স্বভাব বা চরিত্রের মধ্যে ভালো এবং মন্দ উভয় দিক থাকে তাই আখলাকের মধ্যে এই দুটি দিক রয়েছে যা প্রকারভেদ হিসেবে বিবেচিত।

তবে অবশ্যই, আপনি যদি পরিপূর্ণ বিকাশিত মানুষ হন তাহলে ভালো আচরণ বা আখলাকে হামিদা পালন করার চেষ্টা করবেন।

কেননা প্রশংসনীয় যে সকল আচরণ রয়েছে সে সকল আচরণ অবশ্যই ভালো হবে আমাদের জীবন সুশৃংখলভাবে রাখতে।

আরও পড়ুন: সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top