আকাইদ শব্দের অর্থ কি?

আকাইদ শব্দের অর্থ কি: আকাইদ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসমালা এবং এটি হলো আকিদা শব্দের বহুবচন।

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একমাত্র মাননিত দ্বীন ও জীবন ব্যবস্থা যেখানে মানবজাতির জীবন পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ দিক নির্দেশনা উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ধর্মের দুইটি দিক রয়েছে: একটি হলো বিশ্বাসগত দিক ও অন্যটি হলো আচরণগত বা প্রয়োগিক দিক। ইসলামের বিশ্বাসগত যে দিকের নামই হচ্ছে আকাইদ বা বিশ্বাস।

ইসলামের যে সকল মৌলিক বিষয় রয়েছে সেই সকল বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস অর্জন করতে হয়, এই বিশ্বাসটি হচ্ছে আকাইদ শব্দের অর্থ।

আকাইদ শব্দের অর্থ কি
আকাইদ শব্দের অর্থ কি?

আল্লাহ তাআলা, নবী-রাসূল, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি সকল বিষয় হচ্ছে আকাইদের অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিস যারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত হয়েছে।

এরপর বিশ্বাস রেখে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি প্রয়োগিক দিক তথা ইবাদতগত দিক পালন করাও হচ্ছে আকাইদের অন্তর্ভুক্ত।

মূলত আকাইদের যে সকল বিষয়বস্তু রয়েছে তার উপর বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করতে পারে।

আকাইদের প্রয়োগিক দিকগুলো কি কি?

আকাইদ এর দুইটি দিক রয়েছে এর মধ্যে প্রয়োগিক দিকটি হচ্ছে অন্যতম। আর এ আকাইদেয়ার প্রয়োজন গুলো কি কি রয়েছে এ বিষয়ে আমাদের ধারণা রাখা উচিত হবে আকাইদের জন্য। কেননা প্রয়োগিক দিকটি আকাইদের অন্তর্ভুক্ত।

যেহেতু আকাইদহে নিয়ে তথ্য জানতে এসেছে সে তো আমাদেরকে এখান থেকে পরিপূর্ণ তথ্য নিজের মাথা নিতে হবে আকাইদের বিষয়।

আর আকাইদের বিষয়ে বর্ণনা অর্জন করতে হলে এর অন্তর্ভুক্ত একটি শাখা অর্থাৎ প্রয়োগিক দিক সম্পর্কে আমরা প্রথমে ধারণা অর্জন করব।

নিচে আকাইদের প্রয়োগিক দিকগুলো কি কি, যে বিষয়ে আমাদেরকে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে সেগুলো  উল্লেখ করা হলো:

  • কালেমা এর স্বীকৃতি দেওয়া এবং তা বিশ্বাস করা।
  • নামাজ বা সালাত কায়েম করা।
  • রোজা বা সাওম পালন করা।
  • সামর্থ্য থাকলে যাকাত দেওয়া বা দান করা।
  • সামর্থ্য থাকলে হজ আদায় ও মক্কা ভ্রমণ করা।

এগুলো হলো আকাইদের প্রয়োগিক দিক যেগুলো আমাদেরকে প্রকাশ্যে এবং অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে। তবে এই সাথে এ বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান আমাদেরকে সকলের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে দ্বীন প্রচারের জন্য। আকাইদের প্রয়োগিক দিকগুলো হলো আমাদের এই আকাইদ শব্দের অর্থ কি এই পোষ্টের অন্য একটি বিষয়।

আকাইদের প্রয়োগিক দিকগুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন, কেননা ইহার মাধ্যমে আমল করার সুবিধা হয়।

আকাইদ হচ্ছে বিশ্বাসগত দিকের নাম এবং দুই ভাগে বিভক্ত যার একটি হচ্ছে প্রয়োগিক দিক এবং উদাহরণ যা উল্লেখ করা হয়েছে।

আকাইদের বিশ্বাসগত দিকগুলো কি কি

এই আকাইদের আরও একটি দিক রয়েছে এবং সেই দিকটি হচ্ছে বিশ্বাসগত দিক। আর আমরা যেহেতু প্রয়োগের দিক সম্পর্কে জেনেছে আকাইদের তাই এখন বিশ্বাসগত দিক জানবো আকাইদের। বিশ্বাসগত দিক আকাইদের অন্যতম একটি অন্তর্ভুক্ত বিষয়।

তাই আমাদেরকে অবশ্যই এ বিশ্বাসগতার দিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে আকাইদের পরিপূর্ণতার জন্য। আর আকাইদা পরিপূর্ণতা তখনই আমরা পাব যখন আমরা এর প্রয়োগিক এবং বিশ্বাসগত উভয় দিক ভালোভাবে জেনে মেনে চলবো।

নিচে আকাইদের বিশ্বাসগত দিক গুলো কি কি তা আপনাদের মাঝে উল্লেখ করা হলো:

  • আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা।
  • ফেরেশতাগণদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
  • আসমানী কিতাবকে সত্য বলে মানা।
  • পরকাল সম্পর্কে বিশ্বাস অর্জন করা।
  • জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপন করা।

আকাইদের বিশ্বাস গত দিকগুলোর উদাহরণ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং এর বাইরেও কিছু বিশ্বাসগত দিক থাকতে পারে। তবে আমার পক্ষে মনে হয় আপনার যেকোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই কয়েকটি উদাহরণ মনে রাখলেই চলবে।

আকাইদের বিশ্বাস গত এবং প্রয়োগ উভয় দিক সম্পর্কে এই পোস্টে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টে আপনাকে মূল্যবান বলে মনে হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য রয়েছে এমন ধারণা পেশ করছেন।

আকাইদ হচ্ছে বিশ্বাসগত দিক এবং ইসলামের জন্য এই বিশ্বাসগত দিকটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। আকাইদ সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যে এটি বহুবচন শব্দ যার একবচন হচ্ছে শুধু বিশ্বাস এবং বহুবচনে এর অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসমালা।

আরও পড়ুন: ইসলাম কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top