আংশিক পাতন কাকে বলে: দুই বা ততোধিক তরল উদ্বায়ী পদার্থে দ্রবীভূত গ্যাসের সমসত্ত্ব মিশ্রণ থেকে স্পটনাঙ্ক এর উপর ভিত্তি করে পৃথক করার প্রক্রিয়াকে আংশিক পাতন বলে।
পাতন এবং আংশিক পাতনের মধ্যে সাধারণ যে পার্থক্য রয়েছে সেটি হলো: দ্রব, সাধারণ পাতনে পদার্থটি অউদ্বায়ী হলেও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেত। তবে এই প্রক্রিয়ায় স্ফুটনাঙ্কের উপর ভিত্তি করে পৃথক করা হয়, যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ঘটে থাকে।
পাতনে নির্ধারিত তাপ থাকে না কিন্তু এই আংশিক পাতনে নির্ধারিত তাপ থাকে যে তাপে আংশিক পাতন সম্পন্ন হয়।
মূলত আমরা আংশিক পাতন ব্যবহার করে থাকে তরল পদার্থ থেকে কোন কিছু পৃথক করার জন্য এবং পৃথকীকৃত পদার্থ পাওয়ার জন্য।

পৃথক করা বলতে বোঝানো হয়েছে যদি দুইটি বস্তু মিলে একটি তরল গঠন হয় এবং আমরা কোনো একটা কাঙ্ক্ষিত বস্তু চাই।
তাহলে অবশ্যই লক্ষ্য করা যাবে যে উক্ত বস্তুতিতে উপস্থিতি দুইটি মৌলের স্ফুটনাঙ্ক এর মান সমান হবে না।
আর সমানে না হওয়ার কারণে আমরা যে বস্তুটি বের করতে চাই সেটি যদি কম স্ফুটনাঙ্ক সম্পন্ন হয় তাহলে নির্দিষ্ট তাপ দিয়ে বাষ্প করে সেটাকে সংরক্ষণ করব। আবার যদি স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয় তাহলে যে পদার্থের সংরক্ষণ করব না তা কম তাপমাত্রায় বাষ্প করে নেব এবং পাত্রে পড়ে থাকবে আমাদের কাঙ্খিত মৌল।
অর্থাৎ আমরা আংশিক পাতন দুই ভাবে করতে পারি এবং এটি নির্ভর করবে আমরা কোন বস্তুটি নির্বাচন করে পৃথক করতে চাই।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আংশিক পাতন পদ্ধতিতে কিভাবে কাজ করে থাকে এবং কয় ভাবে আংশিক পাতন হয়।
আংশিক পাতন বলতে কি বুঝায়?
আংশিক পাতন বলতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ঘটিত বাষ্পীভবন প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট তাপমাত্রার তাপ প্রদান করা হয় যার ফলে সুনির্দিষ্ট জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। সুনির্দিষ্ট জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হওয়ার ফলে পাত্রের মধ্যে সুনির্দিষ্ট অধঃক্ষেপ বিদ্যমান থাকে।
যেহেতু এই পাতন প্রক্রিয়ার সবকিছু হিসাব-নিকাশ করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রদান করা হয়, তাই এই পাতন প্রক্রিয়াকে আংশিক পাতন বলে।
আর এই আংশিক পাতনটি আমরা সর্বদা ব্যবহার করে থাকে মূলত বস্তু থেকে একটি নির্ধারিত মৌল পৃথক করে নেওয়ার জন্য।
অর্থাৎ আংশিক পাতন বলতে নির্দিষ্ট তাপ কে বোঝানো হয় যে তা প্রদান করে আমরা দুটি বস্ত্র দ্বারা গঠিত তরল থেকে পৃথক করতে পারে একটি বস্তু। আর এটি আমরা বিভিন্ন প্রকার গ্যাসক্ষেত্র এবং অন্যান্য বিশেষ খনিজ পদার্থ উত্তোলন করার সময় ব্যবহার করতে দেখতে পাই।
কেননা একটা গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে যে একটি গ্যাস পাওয়া যাবে এমনটি নয় বরং উক্ত গ্যাসক্ষেত্রে কয়েক ধরনের জৈব পদার্থ পাওয়া যায়।
এবং স্ফুটনাঙ্ক এর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন টানেলের মধ্যে দিয়ে পৃথক করে নেওয়া হয় আংশিক পাতন দ্বারা।
বর্তমানে বিভিন্ন স্থান থেকে খনিজ পদার্থ উত্তোলন করা হয় এবং এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি হচ্ছে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আর জীবাশ্ম জ্বালানি যখন কোন খনি থেকে উত্তোলন করা হয় তখন এই আংশিক পাতন পদ্ধতি ব্যবহার করে সেপারেট অনুযায়ী নির্দিষ্ট টানেলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তাপে ভাগ করা হয়।
শেষ কথা:
আংশিক পাতন কাকে বলে এবং আংশিক পাতন বলতে কী বোঝায় এই বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ তথ্য উপরে পেয়ে যাবেন। আর আপনাকে অবশ্যই আংশিক পাতন সম্পর্কে জানতে হবে কেননা জৈব রসায়নে বা জীবাশ্ম জ্বালানিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
পৃথকীকরণ করার জন্য আমরা এই আংশিক পাতন ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি পাওয়ার জন্য।
তবে এই পৃথিবী করন আংশিক পাতন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে এবং এই আংশিক পাতন কয়টি ধাপ অবলম্বন করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
আংশিক পাতন পদ্ধতিতে যে কয়েকটি ধাপ দ্বারা সংঘটিত হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- প্রথম দিকে যদি কঠিন পদার্থ হয় তাহলে সেটাকে গলনাঙ্কের মাধ্যমে তরলে রূপান্তর করে আনতে হয়।
- এরপর উক্ত তরলকে একটি নির্ধারিত পাত্রের মধ্যে অবস্থানর সংরক্ষণ করা হয় বাষ্পীভবনের জন্য।
- বাষ্পীভবনের জন্য তরলকে তা প্রদান করা হয় এবং নির্দিষ্ট একটি তাপ প্রদান করা হয় যেকোনো একটি বস্তু পৃথকের ক্ষেত্রে।
- এরপর বাসকৃত সেই তাপ একটি কাঁচের মধ্যে সংরক্ষণ করে ঠান্ডা করার মাধ্যমে দুই বস্তুকে পৃথক করা হয় আংশিক পাতন দ্বারা।
- এবং অবশেষে এই আংশিক পাতন বিভিন্ন সময় ছাঁকনির মতো ব্যবহার করা হয়ে থাকে পৃথকের ক্ষেত্রে।
এগুলো হলো আংশিক পাতনের ধাপ এবং এই ধাপগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আংশিক পাতন প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
এই ধাপগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আংশিক পাতন করা হয় এবং জীবাশ্ম উত্তরণে কয়েকটি আংশিক পাতন বিভিন্ন স্থানে করা হয়।
আরও পড়ুন: পাতন কাকে বলে?