অর্থকারী ফসল কাকে বলে: প্রধানত অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কৃষক যে সকল ফসল চাষ করে তাদেরকে অর্থকারী ফসল বলে। অর্থাৎ শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করা উদ্দেশ্যে যে সকল ফসল ফলানো হয় সেগুলো হচ্ছে অর্থকারী ফসল এর অন্তর্ভুক্ত।
এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে যে অর্থকারী ফসল হলো এমন ফসল যা কৃষক অর্থ উপার্জনের জন্য চাষাবাদ করে থাকে। সেই ফসলকে পারিবারিকভাবে ব্যবহার করে খাবার কিংবা অন্যান্য পারিবারিক কাজে ব্যবহার করার জন্য নয় বরং অর্থ উপার্জনের জন্য।
প্রধান অর্থকারী ফসল সমূহ হলো: ধান, গম, ভুট্টা, আলু, ইত্যাদি রয়েছে যেগুলো কৃষকগণ অর্থ উপার্জনের জন্য চাষ করেন। শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করা যায় অর্থকারী ফসল দিয়ে এমনটি না বরং চাহিদা এবং অর্থ উভয় পূরণ হয়, কৃষকের মুখে হাসি আসে।
আমি আশা করি যে অর্থকারী ফসল কাকে বলে এ সম্পর্কে আমি আপনাকে একটি ভালো সংজ্ঞা উপস্থাপন করে দিতে পেরেছি।
তবে এই অর্থকারী ফসলের কিছু শ্রেণীবিন্যাস রয়েছে চলুন এই অর্থকারী ফসলের শ্রেণীবিন্যাস গুলো সম্পর্কে জানব।
অর্থকারী ফসলের শ্রেণীবিভাগ
আমরা তো ইতিমধ্যে অর্থকারী ফসলের সংজ্ঞা জানলাম তবে আমরা অর্থকারী ফসল কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে ফেলেছি। আর এখন আমরা এই অর্থকারী ফসলের প্রকারভেদ গুলো বা শ্রেণীবিন্যাস গুলো সম্পর্কে জানব কয় প্রকার।
অর্থকারী ফসল মূলত চারটি ভাগে বিভক্ত।
তন্তু জাতীয় ফসল: পাট, সন, তুলা ইত্যাদি হলো তন্তু জাতীয় ফসল।
ডাল জাতীয় ফসল: মুগ, মসুর ইত্যাদ এগুলো হলো ডাল জাতীয় ফসল।
তেল জাতীয় ফসল: সরিষা, তিল, সয়াবিন ইত্যাদি হলো তেল জাতীয় ফসল।
অন্যান্য ফসল: আঁখ, কফি, চা ইত্যাদি ফসল সমূহ অন্যান্য ফসলের ভিতরে পড়ে।
এখানে অন্যান্য ফসল বলতে যে সকল ফসল সমূহ কে বাগান করে চাষ করা হয়। যে সকল ফসল এখানে স্থান পাবে।
এগুলো ছিল অর্থকারী ফসলের কিছু প্রকারভেদ এবং সেই সাথে ছিল অর্থকারী ফসলের প্রকারভেদ গুলোর সংজ্ঞা। যেগুলো দ্বারা আমরা স্পষ্টভাবে অর্থকারী ফসলের সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে প্রকারভেদ এবং প্রকারভেদের সংজ্ঞা সহ।
অর্থকারী ফসলের বৈশিষ্ট্য
অর্থকারী ফসলের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা খুঁজে পাই এবং এ বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা অর্থকারী ফসল চাষ করা সম্ভব।
তাই আপনি যদি অর্থকারী ফসল চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শুধুমাত্র এই কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখে নিতে হবে অর্থকারী ফসলের।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্থকারী ফসলের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
আধুনিক যন্ত্র নির্ভর: অর্থকারী ফসল সমূহকে সম্পূর্ণভাবে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে চাষ করা হয়ে থাকে।
সুবৃহৎ জমি: অর্ধকারী ফসল সমূহকে যে জমিতে চাষ করা হয় তার আকার বা তার মাঠ বিশাল বড় হয়।
শিল্পের কাঁচামাল: বেশিরভাগ অর্থকারী ফসল সমূহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এগুলো ছিল অর্থকারী ফসলের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং অর্থকারী ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এ সকল বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। ধন্যবাদ এই সকল বৈশিষ্ট্য গুলো জানার মাধ্যমে আমি আশা করি আপনারা অর্থকারী ফসল উৎপাদন করতে সফল হবেন এবং অর্থ পাবেন।
অর্থকারী ফসলের কাজ এবং সুবিধা
কৃষকের অর্থকারী ফসল সমূহকের সম্পূর্ণভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য চাষ করে থাকে বলে এটি আমরা ধারণা করে থাকি, এর ব্যবহার বহুমুখী।
বিশেষ ক্ষেত্রে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এর ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প কারখানা কখনো এই অর্থকারী ফসল ছাড়া চলতে পারবে না।
আর আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে যা সম্পূর্ণভাবে অবগত আছি যে একটি দেশের উন্নতির জন্য শিল্প কারখানা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প কারখানার উন্নতির কারণে মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কৃষিজ কাঁচামালার ব্যবহার হয়। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মানদন্ড বা ভিত্তি তৈরি হয়ে থাকে এই শিল্প কারখানার মাধ্যমে।
আরে শিল্প কারখানা পরিচালনা করাতে যেহেতু অর্থকারী ফসলের গুরুত্ব অপরিসীম আর অর্থকারী ফসল ছাড়া কোন দেশ কখনো স্বাবলম্বী হতে পারবেনা।
যে দেশের মধ্যে অর্থকারী ফসল নেই সে দেশ কখনো স্বয়ংসম্পূর্ণভাবা তো দূরের কথা মধ্যবিত্ত দেশের তালিকা তেও আসতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ফসল কি?