অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে: যে সব d-ব্লক মৌল অন্তত এমন একটি আয়ন গঠন করে, যাদের ইলেকট্রন বিন্যাস d-অরবিটালকে আংশিকভাবে পূর্ণ করে (d1 – d10) থাকে, তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে। অবস্থান্তর মৌলের সংজ্ঞা মতে চতুর্থ পর্যায়ে d-ব্লকভুক্ত Sc এবং Zn এ দুইটি মৌল অবস্থান্তর মৌল নয়।
কারণ তারা কেবলমাত্র Sc3+ এবং Zn2+ গঠন করে এবং এটি d- ব্লকের মৌল গুলোকে আংশিক পূর্ণ করতে পারে না। তাই এদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলা হয় না কারণ এরা 3d অরবিটালে কোন ইলেকট্রন বিদ্যমান রাখে না।
- Sc3+ (21) = 1s2-2s2-2p6-3s2-3p6-3d0
- Zn2+ (30) = 1s2-2s2-2p6-3s2-3p6-3d10
অপরদিকে Fe হল d-ব্লকের মৌল এবং এর উভয় আয়ন অবস্থান্তর মৌল হিসেবে বিবেচিত হয়।

এর কারণ Fe2+ এবং Fe3+ এই দুটি আয়নডি অরবিটালকে আংশিক ভাবে পূর্ণ করতে সক্ষম।
- Fe2+ = 1s2-2s2-2p6-3s2-3p6-3d6
- Fe3+ = 1s2-2s2-2p6-3s2-3p6-3d5
যে সকল d ব্লক মৌল অবস্থান্তর মৌল নয়, কিন্তু সকল অবস্থান্তর মৌলই হচ্ছে d ব্লক মৌলের অন্তর্গত এবং এটি সত্যি।
অবস্থান্তর মৌলগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শন করে এবং এটি হচ্ছে অবস্থান্তর মৌলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।
ধারণা অবস্থান্তর মৌল: পর্যায় সারণির ৩ নং গ্রুপ থেকে ১২ নং গ্রুপের মৌল গুলোকে অবস্থান্তর মৌল বলা হয় এবং অবস্থান্তর মৌল গুলো যে সকল যৌগ গঠন করে সে সকল যৌগ প্রত্যেকটি রঙ্গীন হয়ে থাকে। ১০ নম্বর গ্রুপের মৌল নিকেল একটি অবস্থান্তর মৌল এবং মিকেল অর্থাৎ ১০ নম্বর গ্রুপের এই মৌলটি জৈব বিক্রিয়া প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
অবস্থান্তর মৌলসমূহের বৈশিষ্ট্য
আমরা তো ইতিমধ্যে অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে এ বিষয়ে জানলাম এবং সেই সাথে জানলাম কোনগুলো অবস্থান্তর মৌলের অন্তর্ভুক্ত। তবে এখন আমাদের কিছু বৈশিষ্ট্য জানতে হবে যে বৈশিষ্ট্য গুলো প্রত্যেকটি অবস্থান্তর মৌলের মাঝে আমরা খুঁজে পাই এবং আচরণে দেখতে পাই।
তাই আমি এখন চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে অবস্থান তোর মৌলের সেই সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসার যেগুলো অবস্থান্তর মৌলে থাকে।
আর অবশ্যই রসায়নে অবস্থান্তর মৌল সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে কেননা রসায়নে অবস্থান মৌলের অনেক বড় কাজে থাকে।
অবস্থান্তর মৌলসমূহের বৈশিষ্ট্য:
- প্রথম বৈশিষ্ট্য অবস্থান্তর মৌলগুলো সর্বদাই পরিবর্তনশীল বা একাধিক যোজ্যতা পরিদর্শন করে।
- অবস্থান্তর মৌল গুলো রঙ্গিন যৌগ গঠন করে এবং বর্ণ প্রদর্শন করে।
- জটিল যৌগ গঠন করে থাকে সবসময়য় অবস্থান্তর মৌল গুলো ।
- বিভিন্ন বিক্রিয়া প্রভাব গ্রুপে ক্রিয়া করে থাকে অবস্থান্তর মৌলগুলো।
- অবস্থান্তর মৌল গুলো প্যারা চুম্বকীয় ধর্ম প্রদর্শন করে।
এগুলো হলো অবস্থান্তর মৌলের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা আমরা অবস্থান্তর মৌলগুলোকে খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারি। অবস্থান্তর মৌলগুলোর চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বৈশিষ্ট্য সেটি হচ্ছে এরা রঙ্গিন যৌগ গঠন করে এবং পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে।
অন্য আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো অবস্থান্তর মৌলগুলো সর্বদাই d ব্লক মৌলে অবস্থান করে এবং একাধিক যোজ্যতা ইলেকট্রন পরিদর্শন করে থাকে।
উপসংহার:
অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে এবং অবস্থান্তর মৌলসমূহের বৈশিষ্ট্য এ বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটি হাজির করা হয়েছে।
এই পোস্টটিতে অবস্থান্তর মৌল সমূহের নবম শ্রেণী থেকে একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যাবতীয় সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
নবম এবং দশম শ্রেণীতে অবস্থান্তর মৌলটির সংজ্ঞাটি কিছুটা প্যাচানো এবং তথ্যপূর্ণ না হলেও, একাদশ শ্রেণীর অবস্থান্তর মৌলের সংজ্ঞাটি অনেক বেশি তথ্যপূর্ণ এবং বোধগম্য। অবস্থান্তর মৌল নিয়ে প্রত্যেকেরই বিভ্রান্তজনক ধারণা থাকে এবং এ ধরনের দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের এই পোস্টটি অনেক বেশি সহায়ক।
অবস্থান্তর সাধারণত প্রভাবক রূপে আমরা বিভিন্ন বিক্রিয়া দেখতে পাই এবং সর্বক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
আর যাই হোক অবস্থান্তর মৌল নিয়ে আপনার আর কোন ধরনের পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানাতে পারেন এবং বিস্তারিত তথ্য দিতে ও গ্রহণ করতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট আমাদেরকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে ভালো মানের পোস্ট তৈরি করার এবং আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার।
আজকের মত এ পর্যন্তই এই পোস্টটি আপনাকে কেমন লেগেছে, মনে হয় যে আপনাকে উপকারী করে মনে হয়েছে আমাদের এই পোস্টটি।
আরও পড়ুন: নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে?
সুন্দর পোষ্ট।
https://www.techlegionbd.com/2024/01/Transitions-Element-Defination-and-Properties-In-Bengali.html