অণু কাকে বলে: দুই বা ততোধিক সংখ্যক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন এর মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তাকে অণু বলা হয়। দুইটি অক্সিজেন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় (O2) অনু গঠন করে এবং এই O2 কে অণু বলা হয়। আবার O2 অণু একটি C পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় CO2 অণুর গঠন করে। আর এইভাবে আরো একটি অণু গঠিত হয়।
একটি পদার্থ গঠনের মধ্যে থাকে অনেকগুলো মৌলের উপস্থিতি এবং এই মৌলগুলো পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা সংযোগ থাকে।
রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা সংযোগ স্থাপন করে কোন একটি পদার্থ তৈরি করার মাধ্যমে অণু গঠিত হয়।
তবে, অণু গঠনের ক্ষেত্রে যে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মৌল প্রয়োজন হবে এমনটি না বরং একই মৌল দ্বারা অণু গঠিত হয়। অর্থাৎ শুধুমাত্র আয়রন দিয়ে একটি অণু গঠন করা সম্ভব হবে যদি আমরা সেখানে একের অধিক আয়রন যোগ করি এবং রাসায়নিকভাবে স্থাপন করি।

অর্থাৎ দুই বা ততোধিক একইভাবে ভিন্ন ধরনের মৌলের উপস্থিতি দ্বারা রাসায়নিকভাবে গঠিত পদার্থের নাম হচ্ছে অণু।
আর এ বিষয়টি মনে রাখবেন, রাসায়নিকভাবে সংযোগ স্থাপন করা ছাড়া কখনো অণুতে বিদ্যমান পরমাণুগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হতে পারে না।
সহজে যদি আমরা পরমানুর দিকে চিন্তা করে তাহলে একাধিক পরমাণু একসঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে অণু।
পরমাণু গঠনের যেমন কণিকা রয়েছে থেকে তেমনি অণু গঠনের রয়েছে বেশ কয়েকটি পরমাণুর রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা গঠিত সংযোগ।
রাসায়নিকভাবে কোন সংযোগ স্থাপন করা ব্যতীত আমরা কখনো অণু গঠন করতে পারবো না বা অণুর কোন উপস্থিতি পাবো না।
অণু বলতে কি বুঝায়?
অণু বলতে দুই বা তার অধিক সংখ্যক পরমাণুর মিশ্রণে তৈরি যৌগকে বোঝানো হয়। একই মৌলের একাধিক প্রমাণপ্রাশয়ের সাথে যুক্ত হলে তাকে মৌলের অনু বলা হয়, উদাহরণ: O2। ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় অনু গঠন করলে তাকে যৌগের অনু বলে, উদাহরণ: CO2।
সহজ ভাষায়, অণু বলতে বেশ কয়েকটি পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা সংযুক্ত বস্তুকে বোঝায়।
অবশ্যই আমরা কখনো পরমাণু ব্যবহার করতে পারি না বরং পরমাণু দ্বারা সৃষ্ট অণু ব্যবহার করতে পারে নিজের চাহিদা পূরণের জন্য।
উপরে আমরা অণুর কিছু উদাহরণ উল্লেখ করেছি এবং এই উদাহরণগুলো দ্বারা এটি স্পষ্ট ভাবে অণুর ধারণা আমাদের দেয়।
আর আপনি যেন স্পষ্টভাবে অণুর ধারণা পান তাই আমরা উপরে উদাহরণগুলো উল্লেখ করেছি এবং আপনাদেরকে এগুলো দেখে নেওয়া উচিত।
পরমাণুতে উপস্থিত কণিকাগুলো পরস্পরের সাথে সংযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে পরমাণুগুলোর রাসায়নিকভাবে যুক্ত হতে পারে এবং অণু গঠন করতে পারে।
শেষ কথা:
অণু কাকে বলে এবং অণু বলতে কি বোঝায় এ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকের আলোচনাটি ছিল আপনার জন্য। রসায়নে অণুর ভূমিকা অনেক বেশি রয়েছে কেননা এই অণু দ্বারা যৌগ গঠন করাকে বোঝানো হয় যার মাধ্যমে মৌলগুলো সংযোগ স্থাপন হয়।
বেশ কয়েকটি পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিকভাবে সংযোগ স্থাপনকৃত সৃষ্ট বস্তুর নাম হচ্ছে রাসায়নিক ভাষায় অণু।
পরমাণু দ্বারা গঠিত অণু পর্যন্ত শেষ হিসাব এমন না বরং অণুগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় আরো নতুন বিষয় তৈরি করে।
বর্তমানে, অণু বলতে যে সংখ্যাগুলো আমরা এখানে উল্লেখ করেছে তার প্রত্যেকটা আপনি আপনার মেধা ধারণ করে নিন। কারণ অণু বলতে মূলত এই কয়েকটি বিষয়ের উপর ধারণা থাকাকে বোঝানো হয় যার দ্বারা আপনি নিজের যোগ্যতা অণুর উপর বাড়াতে পারেন।
ধন্যবাদ, এবং শুভ বিদায় নিচ্ছি আর বলতেছি আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ আমাদের সাথে অণু সম্মিলিত এই পোস্টটিতে থাকার জন্য।
আরও পড়ুন: ঘনীভবন কাকে বলে?